মুজাহিদ ও সাকার রিভিউ শুনানি ২ নভেম্বর

20/10/2015 1:07 pmViews: 8
মুজাহিদ ও সাকার রিভিউ শুনানি ২ নভেম্বর

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ দিন ধার্য করেন। রিভিউ আবেদনটির শুনানি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মুজাহিদ ও সাকার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবু হোসেন।

গত ১৪ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের পক্ষে মো. শিশির মনির সুপ্রীম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ চেয়ে আবেদন দুটি করেন।

২০১৩ সালের ১৭ জুলাই জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরে একই বছরের ১১ আগস্ট খালাস চেয়ে সুপ্রীম কোর্টে আপিল করেন তিনি।

চলতি বছরের ১৬ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ ওই দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের পুরো রায়ের বিরুদ্ধে ১১৫টি যুক্তি নিয়ে আপিল করেন মুজাহিদ। ট্রাইব্যুনাল যে সব কারণে সাজা দিয়েছেন তার আইনগত ও ঘটনাগত ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেন তিনি। মূল আপিল ৯৫ পৃষ্ঠার, এর সঙ্গে ৩ হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট দাখিল করা হয়।

মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনা ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি প্রমাণিত হয়েছে এবং ২টি প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি বলে ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১, ৩, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং ২ ও ৪ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি।

প্রমাণিত ১ নম্বর অভিযোগকে ৬ এর সঙ্গে সংযুক্ত করে এ দু’টি অভিযোগে সমন্বিতভাবে ও ৭ নম্বর অভিযোগে মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড, ৫ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং ৩ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। প্রমাণিত না হওয়া ২ ও ৪ নম্বর অভিযোগে খালাস পান মুজাহিদ।

অপরদিকে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

সর্বমোট ১৭২ পৃষ্ঠার প্রণীত রায়ে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।

তার বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আর বাকি ১৪টি প্রমাণিত হয়নি।

এরপর ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সালাউদ্দিন কাদেরের খালাস চেয়ে আপিল করা হয়। চলতি বছরের ২৯ জুলাই চূড়ান্ত রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্র্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ ওই দিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহালের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

চূড়ান্ত রায়ে শুধু ৭ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোতে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

Leave a Reply