মুক্ত সালাহউদ্দিন হাসপাতালেই থাকছেন
মুক্ত সালাহউদ্দিন হাসপাতালেই থাকছেন
শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেও নেগ্রিমস হাসপাতালেই থাকবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। শারীরিক সমস্যা নিয়ে প্রয়োজনে অনলাইনের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। পাশাপাশি চার্জশিটের ভিত্তিতে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেবেন। সালাহউদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার শিলংয়ের নিম্ন আদালতের বিচারক বি মৌরি শর্তসাপেক্ষে এই জামিন মঞ্জুর করেন। দুইটি শর্তে বলা হয়, সালাহউদ্দিন মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস জেলা ত্যাগ করতে পারবেন না এবং প্রতি সপ্তাহে স্থানীয় এসপি’র কাছে হাজিরা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ই জুন সালাহউদ্দিনের অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলার শুনানি হবে। এর আগ পর্যন্ত সালাহউদ্দিন হাসপাতালে থেকেই চিকিৎসা নেবেন। গত ৩রা মে ভারতের মেঘালয়ের শিলং পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণকারী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’ এ দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘালয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়। চার্জশিটে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারা অনুযায়ী বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ১০ই জুন চার্জশিট গ্রহণ করা না করা নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ শুনানিতে সালাহউদ্দিনের পক্ষে অংশ নেবেন আইনজীবী এসপি মোহান্ত। এর আগে সালাহউদ্দিন নিখোঁজের দুই মাস পর গত ১২ই মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্ধার হন সালাহউদ্দিন। ওই এলাকার লোকজন মারফত সালাহউদ্দিন পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা থেকে নেয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। একদিন পর মিমহানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের আন্ডার প্রিজনার সেলে (ইউটিপি) তাকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। সিভিল হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল নেগ্রিমসে এক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। গত ২০শে মে সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহউদ্দিনকে স্থানান্তরিত করা হয় মেঘালয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে। নেগ্রিমস থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ২৭শে মে আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি কারাগারে পাঠানোর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। এরপর ২৯শে মে তার জামিন শুনানি হয়। জামিন না হওয়ায় নেগ্রিমস হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকছেন। শুক্রবার জামিনের পর অনেকটা মুক্ত সালাহউদ্দিন। তবে ১০ই জুন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত বিচারকাজ শুরু হতে পারে।