মুক্তি পেলেন লতিফ সিদ্দিকী
মুক্তি পেলেন লতিফ সিদ্দিকী
২৯ জুন ২০১৫,সোমবার
সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান।
পৌনে ৫টার দিকে হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কক্ষ থেকে বের হন লতিফ সিদ্দিকী। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। পরে তিনি হেঁটে হাসপাতাল থেকে বের হন।
জেল সুপার ফরমান আলী বলেছেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের কাগজপত্র আমাদের হাতে আসে। পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। তিনি আর আমাদের আসামি নন।
গত ২৩ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার ১০টি মামলা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর আগে সাতটি মামলায় জামিন পান তিনি।
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করেন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেশ ও দেশের বাইরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠন সাবেক এই মন্ত্রীর বিচার দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে একের পর এক মামলা হয়। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এরপর মহাজোট সরকার মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অপসারণ করে। সারা দেশে তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মোট ২১টি মামলা আমলে নেওয়া হয়।
গত বছর ২৩ নভেম্বর রাতে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। ২৫ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তিনি নিম্ন আদালতে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করা হয়। পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ ধারা অনুযায়ী মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকী।