মুক্তিযুদ্ধ: দুই মহান নেতার নেতৃত্ব
প্রদীপ মালাকার, কলামিস্ট ও নিউইয়র্ক প্রবাসী :
দুই নেতার একজন হলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অপরজন ’৭১-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী ও ওই সময়ে বাঙালির বিপদের অকৃত্রিম বন্ধু শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই পাকিস্তানি সামরিক, বেসামরিক শাসক গোষ্ঠীর আচরণ ও বৈষম্যের কারণে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বহুবার জেল খেটেছেন। ’৫২’র ভাষা আন্দোলন, ’৬৬’র আন্দোলন ও ’৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। একবার বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ হলেন খুব সম্ভবত ’৬৬’র শেষ দিকে এবং কারাগারে কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান মনি সিংয়ের সঙ্গে দেখা হয়। বঙ্গবন্ধু তার সঙ্গে আলাপচারিতায় পূর্ব পাকিস্তানকে কিভাবে স্বাধীন করা যায় সেই বিষয়ে মত বিনিময় করেন। এ বিষয়ে কমিউনিস্ট পার্টির তত্কালীন জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফরহাদ সাহেব তার রচিত বইয়ে কিছু তথ্য উল্লেখ করে যান। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাটি শুধুই একটি নিছক মামলা ছিল না। এ মামলাটি মিথ্যা হলেও শাসক গোষ্ঠীর কাছে বঙ্গবন্ধু ছিলেন পাকিস্তানের সংহতির প্রতি হুমকি স্বরূপ। ইতিপূর্বে ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান সম্পূর্ণভাবে শত্রুর দয়ায় অরক্ষিত থাকে। তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর কথা সক্রিয়ভাবে ভাবতে থাকেন। তারপর ১৯৭০-এ উপকূল অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ গোর্কির কারণে দশ লাখ মানুষের সলিল সমাধিতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অবহেলা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য দেখে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেন। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ’৭০-এ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করার কারণে তার পাকিস্তানের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। সামরিক জান্তা বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা চলে যাচ্ছে দেখে সেইদিন থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু করে দেয়। এবার দেখা যাক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। অর্থাত্ তিনি জানতেন শত্রু আক্রমণ করবে। সেইক্ষেত্রে তিনি আটক বা নিহতও হতে পারেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। পাকিস্তানিরা যে শক্তি প্রয়োগ করবে সে ব্যাপারে তিনি আগেভাগেই সতর্ক ছিলেন। সেই জন্য ৭ মার্চের পরে ও আগে ঢাকা ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন হলে বিশেষ করে ইকবাল হল, জগন্নাথ হল, রোকেয়া হল, মোহসীন হলে বাঁশের কিংবা ডামি রাইফেলের মাধ্যমে ট্রেনিং চলত। জে. ইয়াহিয়া লোক দেখানো মিটিংয়ের নামে তার দলবল ও ভুট্টোকে নিয়ে ঢাকায় আসেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মিটিং করার জন্য এবং পাশাপাশি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ করতে থাকেন।
সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের নেয়া এক সাক্ষাত্কারে চিত্তরঞ্জন সুতার জানিয়েছেন ১৯৬৯ সালে লন্ডনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলোচনা হয়। বঙ্গবন্ধুর অভিপ্রায়ে ১৯৬৪ সালে বিএলএফ বা বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের অনুকাঠামো গঠিত হয়। তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভারতের সাহায্যের বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য যে আলোচনা করেছিলেন সেখানে বিএলএফ নেতাদের সম্ভাব্য গেরিলা প্রশিক্ষণের বিষয়টি বিশেষভাবে স্থান পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি পুরো বিষয়টি তাজউদ্দিনকে জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, চিত্তরঞ্জন বাবু শাহরিয়ারকে আরও জানিয়েছিলেন ২৫ মার্চের আগে বঙ্গবন্ধু তাকে কলকাতা পাঠিয়েছিলেন দুইটি বাড়ি ভাড়া করার জন্য। যাতে সময় এলে আওয়ামী নেতারা জড়ো হয়ে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। সম্প্রতি ভারতে তত্কালীন ১৯৭১ সালের বিএসএফ প্রধান রুস্তমজীর আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে যেসব তথ্য বিধৃত হয়েছে তার সঙ্গে চিত্তরঞ্জনের সাক্ষাত্কারের মিল ও ধারাবাহিকতা আছে। ২৫ মার্চের আগে ইন্দিরা গান্ধী রুস্তমজীকে প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান গোলক মজুমদার রুস্তমজীর নির্দেশে ২৬ মার্চের পরে তাজউদ্দীন আহমদকে খুঁজে বের করেন এবং দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। কাজেই বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাহায্য, সহযোগিতা ও গেরিলা যুদ্ধের ব্যবস্থাও করে যান। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু ২৫ মার্চ সহকর্মীদের প্রচণ্ড চাপের মুখে দেশবাসীকে ছেড়ে যেতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, আমি জাতির এই দুর্যোগময় সময়ে চলে গেলে জাতি ভুল বুঝবে এবং হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে না পেয়ে অনন্যোপায় হয়ে আরও বেশি হত্যা চালাবে। ভারতে আশ্রয় না নিয়ে তিনি বিচক্ষণতার কাজটিই করেন। প্রথম প্রথম ভারত সরকারের কাছে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্ব থাকলেও পরবর্তীতে আর সেটা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। ভারতের মাটিতে অবস্থান করে নিজ মত প্রকাশের স্বাধীনতাও থাকবে না। ২৫ মার্চ রাতে মিটিং শেষে সহকর্মীদের দেশের বাইরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার নির্দেশ দেন। এরপর বঙ্গবন্ধু পিলখানার ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন এবং সেই সঙ্গে নিজ পরিণাম জানা সত্ত্বেও নিজ বাসভবনে অবস্থান করেন। এখানেই রাজনীতির সুদক্ষ দাবা খেলোয়াড়ের মতো বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ নেতৃত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। ছাত্রজীবনে ইংরেজি প্রবন্ধে পড়েছিলাম থ্রি কোশ্চেনস্ অর্থাত্ তিনটি প্রশ্ন। এই তিনটি প্রশ্ন বঙ্গবন্ধুর জীবনে সফল প্রয়োগ দেখা যায়। তিনটি প্রশ্ন হলো, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত, সঠিক সময়ে সঠিক শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করা বা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা। অর্থাত্ ৭ মার্চের ভাষণে নির্দিষ্ট সময়ে জনগণকে জানানো, সঠিক সময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং সঠিক সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত করা।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দুই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দুই মহান নেতার নেতৃত্বের মধ্যে কোন কোন ব্যাপারে মিল ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মানেকশর নেতৃত্বে অপর দুই বিমান ও নৌবাহিনী প্রধানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যান। সময়টা সম্ভবত আগস্টের মাঝামাঝি। তখন বাংলাদেশে প্রবল বন্যার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। ইন্দিরা গান্ধী জেনারেল মানেকশকে দেখেই কুশলাদি বিনিময়ের পর জিজ্ঞেস করেন, মুক্তিবাহিনীর খবর কি? জবাবে জে. মানেকশ জানায়, মুক্তিবাহিনী কোনোরকমে পাকবাহিনীর সঙ্গে লড়ে টিকে আছে। আমরা আপনার সাথে দেখা করতে এসেছি শুধু আপনার আদেশের জন্য। বাংলাদেশে এখন প্রবল বন্যা চলছে। পাকবাহিনীর অধিকাংশ জোয়ান সাঁতার জানে না। মুক্তিবাহিনী ও জনগণ পক্ষে আছে, আপনি আদেশ দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান দখল করে নিতে পারব। ইন্দিরা গান্ধী একথা শুনে তীর্যকভাবে তাকিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলেন, আমরা কেন পাকিস্তান আক্রমণ করতে যাব? আক্রমণ করলে এতদিন যাবত্ পাকিস্তান যে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে তা মুসলিম বিশ্ব, পশ্চিমা বিশ্ব, জাতিসংঘ তথা বিশ্ববাসীকে বুঝাতে সক্ষম হবে। পাকিস্তান বলবে, এই দেখো, আমরা যে এতদিন বলছি ভারত আগ্রাসী, সাম্রাজ্যবাদ এবং অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে পাকিস্তানের অখণ্ডতা নষ্ট করছে, এই আক্রমণই তার প্রমাণ। আমরা তা করব না। আপনারা শত্রুর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। কয়েক মাস পর অর্থাত্ অক্টোবরে আন্তর্জাতিক রাজনীতির নতুন মেরুকরণ ঘটে। দীর্ঘদিন ধনবাদী আমেরিকার সঙ্গে কমিউনিস্ট চীনের যে হিম শীতল সম্পর্ক ছিল পাকিস্তানের জোর দূতিয়ালির কারণে হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরের মাধ্যমে তা উষ্ণ সম্পর্কে পরিণত হয়। এই ঘটনায় ইন্দিরাগান্ধী খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লে তার বিচক্ষণ রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডি.পি. ধরের পরামর্শে ভারত অপর সুপার পাওয়ার সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ২০ বছরের এক মৈত্রী চুক্তি করে। এই চুক্তির প্রথম ও প্রধান শর্ত ছিল, দুই দেশের যে কোনো একটি দেশ তৃতীয় পক্ষ দ্বারা আক্রান্ত হলে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে যাবে। এই চুক্তির ফলে উপমহাদেশসহ আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যায়। চুক্তি হওয়ার কয়েকদিন পরে পুনরায় ইন্দিরা গান্ধি তিন বাহিনীর প্রধানদের তার অফিসে ডেকে পাঠান। আবারও মিসেস গান্ধি জেনারেল মানেকশকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা জানতে চাইলে, মানেকশ বলেন, ভালো নয়, একটি আধুনিক সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে ১৭ দিনের ট্রেনিং আর পুরনো অস্ত্র দিয়ে কতদিন টিকে থাকা যায়, একথা শোনার পর তিনি নির্দেশ দিলেন এখন থেকে কালবিলম্ব না করে মুক্তিবাহিনীকে আগের চেয়ে দ্বিগুণ অত্যাধুনিক সব ধরনের অস্ত্র, রসদ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সাহায্য পাঠাবার দ্রুত ব্যবস্থা করুন। মুক্তিবাহিনীর দামাল ছেলেরা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র পেয়ে নতুন উদ্যমে পাকবাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে রণাঙ্গনের চেহারা পাল্টে যায়। নভেম্বরে দেখা যায় রণাঙ্গণে পাকিদের বিভিন্ন চৌকিতে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা হামলার পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধও দেখা যায়। আধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার, পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিবাহিনীর চাপ বেড়ে যাওয়া ও তাদের হাতে ভারতীয় অস্ত্রের ব্যবহার দেখে পাক বাহিনী দিশাহারা হয়ে পড়ে। অবশেষে মুরুব্বী যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে জেনারেল ইয়াহিয়া পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ৩ ডিসেম্বর ভারতের অমৃতসর, জয়পুর, জম্মু-কাশ্মীরসহ বিভিন্ন শহরে বিমান, আক্রমণ করলে তত্ক্ষণাত্ ভারতীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তখন ৩ ডিসেম্বর কলকাতায় প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় থাকা অবস্থায় আক্রমণের খবর পেয়েই তাত্ক্ষণিকভাবে হেলিকপ্টারে চড়ে রাজধানীতে যাওয়ার পথেই আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেন। পূর্ব রণাঙ্গনে ১৩ দিনের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করে একটি নতুন স্বাধীন দেশ ও জাতির জন্ম লাভে সাহায্য করে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
–