মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বক্তব্য : খালেদার নামে মামলা

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আমলী আদালতে মানহানি মামলা দায়ের হয়েছে। কালিয়া উপজেলার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মো. রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন নড়াইলের সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাকারিয়া।
মামলার অভিযোগে রায়হান ফারুকী উল্লেখ করেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যার প্রতিও দৃঢ় বিশ্বাসী। বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল কথা ও কাজের প্রতি অসীম শ্রদ্ধাশীল একজন দেশ প্রেমিক নাগরিক।
মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন গত ২১/১২/১৫ তারিখ সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ হয়েছেন বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।’ এছাড়া তিনি একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে ইঙ্গিত করে বলেন ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি’।
অভিযোগে বলা হয়, উপরোক্ত আসামির এই বক্তব্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং পরের দিন ২২/১২/১৫ তারিখে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা জাতির জনকের গৌরবজনক ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
এ দিকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাঐশোনা গ্রামের হাজী মফিজুল হক, নড়াগাতী থানার দক্ষিণ যোগানিয়া গ্রামের মৃতশেখ মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. ইকতারুজ্জামান, বাগুডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোমরেজ মোল্যার ছেলে মিজানুর রহমান মোল্যাকে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম জানান, বাদীর নালিশের ভিত্তিতে ৫০০/৫০১/৫০২ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।