একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রাপ্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামী ২৫শে জুলাই ধার্য করা হয়েছে। আজ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তারিখ ধার্য করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। এর আগে  সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এই আবেদনটি করে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম গত রোববার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন করেন। তাঁর ছেলে আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাসেম জানিয়েছেন, পুনর্বিবেচনার আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরে তাঁর (মীর কাসেম) খালাস চাওয়া হয়েছে। মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে গত ৮ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। ৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছার পর মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করায় দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। এই আবেদন খারিজ হলে শেষ সুযোগ হিসেবে মীর কাসেম রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। তবে প্রাণভিক্ষা না চাইলে কিংবা ওই আবেদন করার পর তা নাকচ হলে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। মীর কাসেম আলীকে গতকাল  গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।