মিসর ও তুরস্ক থেকে দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বড় ধরনের চালান দেশে পৌঁছাবে। এতে পেঁয়াজের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।
‘পেঁয়াজের বড় চালান আসছে, শিগগিরই দাম কমবে’
মিসর ও তুরস্ক থেকে দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বড় ধরনের চালান দেশে পৌঁছাবে। এতে পেঁয়াজের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। তাছাড়া, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।
এছাড়া, মিয়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটগুলোতে বিক্রিত পেঁয়াজ দ্রুত সারা দেশে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে।
পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় জোরদার করা হয়েছে। ৩৫টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্রয় হচ্ছে। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।