মিশরে বিক্ষোভ দমাতে যৌন নির্যাতন
মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটিতে গণ-বিক্ষোভ দমাতে সরকার বিরোধী বন্দিদের ওপর ব্যাপক যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে। প্যারিস ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস বা এফআইডিএইচ’র প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়। এরপর মিশরের পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা চালানোর ঘটনা বহুগুণে বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি পরিষ্কার যে ২০১৩ সালের ৩ জুলাইয়ের পর থেকে মিশরের পুলিশ এবং সেনা কর্মকর্তারা শিশু, তরুণী, নারী, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের ওপর ওপর নির্বিচারে যৌন হামলা করছে।
এতে বলা হয়েছে, মিশরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢোকার মুখ এবং কারাগারগুলোর বসানো নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে তল্লাশির নামে নির্বিচারে যৌন সহিংসতা চালানো হচ্ছে। নারীদের যৌন সহিংসতাসহ অন্যান্য নির্যাতনের অনেক ঘটনা এতে তুলে ধরা হয়েছে। আটকের পর হেজাব খুলে ফেলা এবং মাটিতে ফেলে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়া নিত্যদিনের ঘটনা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে স্বামী বা বাবার মুখ থেকে কথিত স্বীকারোক্তি আদায়ে বাধ্য করার জন্য মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী নারী বন্দিদের নির্বিচারে ব্যবহার করছে।
এ ছাড়া অভিযোগ জানাতে যেয়ে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের যন্ত্রণার মুখে ঠেলে দেয় দেশটির বিচার ব্যবস্থা। এ ছাড়া অভিযোগ করার পরিণতি মারাত্মক হবে বলেও অহরহ হুমকি দেয় মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী।
যৌন নিপীড়নে জড়িতদের প্রকাশ্য শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিচারের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে এ প্রতিবেদনে। আইআরআইবি।