জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা রামপুরা আবুল হোটেলের সামনে জমায়েত হন জুমার পর। উত্তরের নেতাকর্মীরা জমায়েত হন মালিবাগ রেল গেইটে। মিছিল করে মৌচাকে এলে পুলিশ ব্যানার টেনে নিয়ে নেয়। টিয়ারসেল ছুড়ে, লাঠিপেটা করে। জামায়াত কর্মীরা পুলিশকে ইটপাটকেল ছুড়ে। শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটা থেকে পরবর্তী আধাঘণ্টায় এসব ঘটনা ঘটে।
একইসময়ে মহানগর উত্তরের আরেকটি মিছিল মৌচাক মার্কেটের সামনে এলে, সেটিও পুলিশের বাধায় পড়লেও সংঘর্ষ হয়নি। ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মিছিলটি আবুল হোটেল থেকে খিলগাঁও তালতলা পর্যন্ত বিনাবাধায় মিছিল করে। মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পুলিশ থাকলেও বাধা দেয়নি।
মহানগর উত্তর জামায়াতের প্রচার বিভাগের কর্মপরিষদ সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে মৌচাকে হামলা করে। তার অভিযোগ অর্ধশত নেতাকর্মী ও পথচারী আহত এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন। মালিবাগের শহীদী মসজিদ, নুর মসজিদ, রামপুরা মসজিদ ঘিরে রেখে মুসল্লিদের হয়রানী করে পুলিশ।

রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, জুমার নামাজের পর জামায়াতের ব্যানারে কিছু লোক মিছিল করার চেষ্টা করে। সরাসরি পুলিশের উপর আক্রমণ করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারী কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

সংঘর্ষের পর আল আমিন ও আবদুস সোবহান নামের দুই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সোবহানের ডান হাত ভেঙে গেছে। আল আমিনের মাথা ও শরীরে ইটের আঘাত রয়েছে। রমনা থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
১০ দফার পক্ষে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। অন্যান্য দলগুলো অনুমতি পেলেও, জামায়াত পায়নি। দলটি বায়তুল মোকাররম থেকে গণমিছিল করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিল।
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের বিপরীতে হাউজ বিল্ডিং গলির সামনে চার পাঁচজন ব্যক্তি ‘ইসলামের শত্রুতা হুঁশিয়ার সাবধান’ শ্লোগান দেয়। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে টিয়ারশেল ছুড়ে। দৈনিক বাংলার মোড়েও জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করে কয়েকজন। তাদেরও ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। তবে জামায়াত জানিয়েছে, পুলিশের বাধার তাদের কেউ বায়তুল মোকাররমে যায়নি।