মামলা শেষ হলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: লন্ডন থেকে ফিরে ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার: লন্ডন সফর শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন উনার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা প্রতিহিংসামূলক মামলা রয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার হলে বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলেই তিনি ফিরবেন।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমি যে উদ্দেশ্যে লন্ডনে গিয়েছিলাম, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের সভায় যোগ দিয়েছি। সেখানের প্রেসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। লন্ডনে আমার সফর ভালো ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
গত ৩০শে নভেম্বর স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব লন্ডন যান। লন্ডন অবস্থানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, কয়েকটি স্থানীয় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। এছাড়া স্ত্রী রাহাত আরা বেগম লন্ডনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দেখান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে কী বার্তা এনেছেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন, আপনারা (দেশবাসী) ধৈর্য ধরবেন। একটা বিশাল বিজয় এসেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে, এই বিজয়কে ফলপ্রসূ ও সার্থক করতে হলে অবশ্যই সকলকে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের যে প্রথম পদক্ষেপ, সেই নির্বাচনের জন্য সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
নির্বাচন ও সংস্কারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা প্রায় দু’বছর আগে সংস্কারের কথা বলেছি। ৩১ দফা সংস্কার দিয়েছি। তারপরও আগে ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ দিয়েছিলাম। আমরা এখনো বলছি, ন্যুনতম সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দেয়ার জন্য। এজন্য দেশে যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, এই সমস্যাগুলো নির্বাচিত সরকার ছাড়া সমাধান করা খুব চ্যালেঞ্জিং।
রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছেন-সরকারের একজন উপদেষ্টার এই বক্তব্যে প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, ‘কোন প্রেক্ষিতে বলেছেন এবং কী বলেছেন-তা আমি জানি না। কিন্তু উনার এই বক্তব্য রাজনীতিবিরোধী বক্তব্যে। আমি আশা করি না, উনারা এ ধরনের বক্তব্য রাখবেন। রাজনৈতিক দলগুলো সবসময়ই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করেছে। সমর্থন করার মূল উদ্দেশ্যে একটা আছে, সেটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সেটার জন্যই ১৫ বছর ধরে আমরা কাজ করছি। আমরা সংগ্রাম ও লড়াই করেছি। এটা উনি কী উদ্দেশ্যে, কীভাবে বলেছেন, আমি জানি না।
সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সমাধানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আলোচনার মধ্যে তো দিয়েই সমাধান হবে। এগোচ্ছে তো।
বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিবকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, আবু মোহাম্মদ আহসান ফিরোজ, সাদী আহমেদ ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।