মানুষ জাগ্রত হলে দুই নেত্রী শান্তির দাবী মেনে নিতে বাধ্য হবেন: কাদের সিদ্দিকী
মানুষ জাগ্রত হলে দুই নেত্রী শান্তির দাবী মেনে নিতে বাধ্য হবেন: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, মানুষ জাগ্রত হলে দুই নেত্রী শান্তির দাবী মেনে নিতে বাধ্য হবেন। শান্তির দাবীতে বুধবার সকালে কর্মসূচীর ১৫৪ তম দিনে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কালে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা থেকে তিনি ঘাটাইলের সাগরদীঘিতে আসেন।
নিজের ঘর-বাড়ী, পরিবার-পরিজন ছেড়ে মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে অবস্থান সম্পর্কে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যে একাত্তরে অস্ত্র হাতে ৯ মাস ঘরের বাইরে ছিলাম। আমি ঘরের বাইরে থাকলে যদি শিশুরা নিরাপদ থাকে, নারীর সম্ভ্রম রক্ষিত হয়, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা থাকে, দেশে যদি শান্তি আসে তবে আমি সারা জীবন ঘরের বাইরে থাকতে আমার কোন আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, দালান বানানোর পর যেমন শ্রমিকের সেই দালানে প্রবেশাধিকার থাকে না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধারা দেশ বানানোর পর দেশ পরিচালনায় তাদের কোন অধিকার দেয়া হয়নি। পাকিস্তানীরা বাঙালীর ভোটের অধিকার মেনে নেয়নি বলেই একাত্তরে যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছিলাম।
বঙ্গবীর বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার নাই, তাদের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নাই। এ পরিস্থিতির জন্য ঘরে বসে বসে আফসোস করার চাইতে মানুষকে জাগ্রত করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিএনপির নেত্রীকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ২৮ জানুয়ারি থেকে মতিঝিলের ফুটপাতে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন।
টানা ৬৪ দিন মতিঝিলে অবস্থানের পর দেশের প্রবীণ নাগরিক, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২ এপ্রিল থেকে শান্তির দাবী নিয়ে সারাদেশে সফর শুরু করেছেন।