‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেই’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কিছু কিছু দেশে নৃশংসভাবে গুলি চালানো হয়। তাতে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যায়।
তারা মানবাধিকারকে তোয়াক্কা করে না। ইতিহাস আর নথি ঘেঁটে দেখা যাবে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেই। এর জন্য আমরা গর্ব বোধ করি। এভাবেই আমরা বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করেছি। ’
সেনাপ্রধান ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের যাত্রা শুরুর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা বেশ ভালো করছি এবং আমাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে প্রথম সারিতে আছে। ’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বলা যায়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে আমরা শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে এক নম্বরে আছি। সেখানে সদস্যসংখ্যা সাড়ে ছয় হাজারের বেশি। আমি জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি যে তার ৮০ শতাংশই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য। ’ তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এমনি এমনি আসেনি। আমাদের অনেক আত্মত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশেও অনেক দায়িত্ব পালন করে। এসব দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের কিছু হলেও দক্ষতা অর্জন হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং একই সঙ্গে আমরা মানবিক। ’ সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ্বের কাছে একটি ইতিবাচক ইমেজ আছে। ’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশির চেয়ারপারসন এস এম সেকিল চৌধুরী বক্তব্য দেন।