মানবতাবিরোধী অপরাধ : মাহিদুর-আফসারের রায় আজ

20/05/2015 11:07 amViews: 8
মানবতাবিরোধী অপরাধ : মাহিদুর-আফসারের রায় আজ

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল জানিয়ে দেন আজ  সকালে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত ২২ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

একাত্তরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকায় হত্যা ও গণহত্যার সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ রয়েছে এ দু’জনের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সময় শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর স্কুল মাঠ ও আশপাশের এলাকায় গণহত্যার ঘটনায় ২০১৩ সালে মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুসহ ১২ জনকে আসামি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলাটি করেন গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারের সদস্য শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের বদিউর রহমান।

প্রসিকিউশনের তদন্ত দল ওই দু’জনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়ন থেকে মাহিদুর এবং বিনোদপুর থেকে আফসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর মাহিদুর ও আফসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। ২২ এপ্রিল বিচার শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এ রায়টি হবে যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনারের ১৮তম রায়।

তিন অভিযোগ : অভিযোগ ১ : ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’দিনে মাহিদুর ও আফসারের সহায়তায় পাকিস্তানি দখলদার ও রাজাকার বাহিনী অপারেশন চালিয়ে ৩৯ জনকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন করে এবং ২৪ জনকে হত্যা করে।

অভিযোগ ২ : ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাহিদুর ও আফসারের সহায়তায় রাজাকার বাহিনী শিবগঞ্জের এরাদত বিশ্বাসের টোলা এবং কবিরাজ টোলা গ্রামের ৭০টি বাড়িতে লুণ্ঠন চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।

অভিযোগ ৩ : ১৯৭১ সালের ২ নভেম্বর (১২ রমজান, ১৫ কার্তিক, মঙ্গলবার) দুপুর ২টা থেকে পরের দিন ৩ নভেম্বর রাত পর্যন্ত তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার শিবগঞ্জ থানাধীন শেরপুর ভাণ্ডার (লক্ষ্মীপুর), আদিনা ফজলুল হক সরকারি ডিগ্রি কলেজ, শিবগঞ্জ সিও দেভ অফিস আর্মি ক্যাম্প এবং উপজেলাসংলগ্ন ইয়াকুব বিশ্বাসের আমবাগান এলাকায় মাহিদুর ও আফসারের সহায়তায় রাজাকার বাহিনী অপারেশন চালিয়ে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ করে এবং চারজনকে হত্যা করে।

Leave a Reply