মসজিদ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ
ঢাকা : দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ যেসব জায়গায় মানুষের যাতায়াত বেশি থাকে সেসব স্থানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, শক্তি প্রদর্শন ছাড়া কীভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা যায় সরকার তার ওপর জোর দিয়েছে। আমরা গণসচেতনতার ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। এজন্য মসজিদ, স্কুল, কলেজসহ যেসব জায়গায় মানুষের যাতায়াত বেশি থাকে সেগুলোতে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ নিয়ে কথা বলা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমন সভায় সম্পৃক্তকরণের কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কোমলমতি ছেলেদের নানাভাবে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ পর্যন্ত যেসব জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে সেই জায়গাগুলোতে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নজরদারি করা হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করেছি জঙ্গিবাদের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এজন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নজর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি। এসবের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকেও ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা নজরদারি আগে থেকে ছিল, এখনও আছে, আগামীতেও থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে জেএমবির আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা অর্থ-কৌশল দিয়ে সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করে ধরতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি তাদের ধরতে সক্ষম হব। আপনারা নিশ্চিত থাকেন আমাদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই।
২০০৯ সালে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হলেও এর ফল কেমন পাওয়া গেছে? জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ বলেন, কমিটির কার্যক্রম সমাজে প্রতিফলিত হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজি, র্যাবের মহাপরিচালক, ডিজিএফআই মহাপরিচালক, এনএসআই মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।