ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ সন্ধানী ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মরণোত্তর চক্ষুদানের কথা ঘোষণা করেছেন।
আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিপুল করতালির মধ্যে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন, ‘আমার চোখে গ্লুকোমা রোগ আছে। আমি নিশ্চিত নই আমার কর্নিয়া দান করাটা কোন কাজে আসবে কিনা। যদি এতে কোন সহায়তা হয় তাহলে আমি মরণোত্তর চক্ষুদানের কথা ঘোষণা করছি।’
রাষ্ট্রপতি সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে রক্তদান এবং মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বহুবার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছি। বর্তমানে আমি বয়সের কারণে রক্তদান করতে পারছি না। কিন্তু আমি সবসময় স্বেচ্ছায় রক্তদানের সামাজিক আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে যাব।’
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. আলী আসগর মোড়লের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. হাবিব মিল্লাত, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মো. আকিব জাহান ও সন্ধানী ভবন উদ্বোধন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০০১ সালে সন্ধানীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজধানীর নিকেতন এলাকায় দশমিক শূন্য ৫ একর জমি বরাদ্দ দেয়ার কথা স্মরণ করেন।
সন্ধানী এ পর্যন্ত ৯ লাখ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছে এবং ৩৬ হাজার ২৭৫ জন মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কিন্তু এখনো রক্তের অভাবে লোক মারা যাচ্ছে এবং ১৪ লাখ লোক অন্ধত্বের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘অন্যদের মতো আমিও সেই সোনালী দিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন একটি লোকও রক্তের অভাবে মারা যাবে না এবং অন্ধত্বের অভিশাপে কেউ এই সুন্দর বিশ্বের সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হবে না।’
দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় সন্ধানী এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, ‘দেশের মানুষের ভালবাসা নিয়ে সন্ধানী আরো এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সন্ধানী ভবনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
|