মমতার সঙ্গে তর্কেই দীপু মনি বাদ : আনন্দবাজার

13/01/2014 10:05 pmViews: 4

 

 

ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি : ভারতের সঙ্গে তিস্তা ও জল সীমান্ত চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘তর্কে’ জড়িয়ে পড়াতে ও বেশি কথা বলার কারনেই আওয়ামী লীগের গত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি নতুন মন্ত্রীসভায় স্থান পান নি বলে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রের বরতা দিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, দীপু মণির বিরুদ্ধে তাঁর সতীর্থরাই ‘বেশি কথা বলা’র অভিযোগ করতেন। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হাসিনার উপদেষ্টারাও তাঁদের বিদেশমন্ত্রীর ওপর খুশি ছিলেন না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য দীপু মণি কলকাতায় এসে মহাকরণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। অনেকের বদ্ধমূল ধারণা, এই ঘটনার পর থেকেই তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমা চুক্তি নিয়ে বিরোধিতায় অনড় অবস্থান নেন মমতা। ফলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ঢাকা সফরে গিয়ে হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসার পরেও অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই চুক্তি বাস্তবায়ন করা যায়নি। মমতার সঙ্গে বাদানুবাদকে দীপু মণির সবচেয়ে বড় ‘কূটনৈতিক হঠকারিতা’ বলে মনে করা হয়, যার খেসারত দিতে হয়েছে দেশ ও সরকারকে। নির্বাচনী অন্তরবর্তী সরকারেই দীপু মণিকে ছেঁটে দিয়েছিলেন হাসিনা। এবারও বাদ পড়তে হল তাঁকে।

আনন্দবাজার লিখেছে, আগের পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও ভারতের সঙ্গে তিস্তার জলবণ্টন ও স্থলসীমান্ত চুক্তি করে ওঠা যায়নি। সে জন্যই কি এবার শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন দীপু মনি? বাদ পড়েছেন আগের দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও মহিউদ্দিন খান আলমগিরও। বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজের হাতেই রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেগম রওশন এরশাদ বিরোধী নেত্রী হলেও তাঁর স্বামী দেশের প্রাক্তন সেনাশাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় নিজের বিশেষ দূত নিয়োগ করেছেন হাসিনা। বিরোধীরাও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ায় গণতন্ত্র খুণ্ন হয়েছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করলেও নিজের বাড়ির লনে এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেন “আপনারাই সকলকে নিয়ে চলতে বলেন, আবার তা করতে গেলে আপনারাই প্রশ্ন তোলেন!”

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দিন শপথের সময়ে গোমড়া মুখে বেগম রওশনের পাশে বসে ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা এরশাদ। হাসপাতাল থেকেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। শপথের পরে হাসিনা তাঁর নাম মন্ত্রী পদমর্যাদার দূত হিসেবে ঘোষণা করার পরে প্রাক্তন এই সেনাশাসকের মুখে হাসি ফোটে। রাষ্ট্রপতির বাসভবন থেকে আর হাসপাতাল নয়, নিজের বাড়িতেই ফেরেন এরশাদ সাহেব।

Leave a Reply