মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনের সময় প্রটোকল পাবেন
প্রতিবেদক
নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রী-এমপিরা প্রটোকল পেলেও প্রটেকশন (নিরাপত্তা) পাবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. (অব.) মো. জাবেদ আলী। এ ছাড়া এ সময় তারা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। সংশোধিত নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়ায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাতে কেউ নির্বাচনী প্রচার (ক্যাম্পেইন) করতে না পারেন সেভাবেই আচরণবিধি সংশোধন করা হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে মন্ত্রী-এমপিরা প্রার্থী হবেন। সেক্ষেত্রে লেভেল ফিল্ড তৈরিতে যে ধরনের আচরণবিধি দরকার আমরা সেভাবে আচরণবিধি সংশোধন করছি।
জাবেদ আলী বলেন, আচরণবিধির ১৮ ধারা অনুযায়ী নির্বাচনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন ফোর্সের লোক থাকবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কীভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে; কোনো মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে নয়। এক্ষেত্রে কোনো পদ বিবেচ্য নয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডিসি-এসপিরা যদি পক্ষপাতিত্ব করে সেক্ষেত্রে ইসির করণীয় কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি কাজ সুন্দরভাবে করার জন্য দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। কিন্তু কোনো ধরনের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেলে আচরণবিধির ১৩ ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে দুই রাজনৈতিক দলের সমঝোতায় কোনো পরিবর্তন হলে সেভাবেই নির্বাচন হবে।