মন্ত্রীদের বক্তব্যে ধর্ষকরা উত্সাহিত হচ্ছে : রিজভী
মন্ত্রীদের বক্তব্যে ধর্ষকরা উত্সাহিত হচ্ছে : রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যেই ধর্ষক-দুষ্কৃতকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী যদি এ টাইপের কথা বলেন যে, নোয়াখালীর ঘটনা একটা ষড়যন্ত্র তাহলে অপরাধ কমবে কীভাবে?
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে এক নারীকে নির্যাতনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে গতকাল মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় রিজভী একথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহিদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ আলোচনাসভা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক মাওলানা অধ্যক্ষ শাহ নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদারের পরিচালনায় আলোচনাসভায় বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, শামীমুর রহমান শামীম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের মাওলানা সেলিম রেজা বক্তব্য দেন।
রিজভী বলেন, দেশে এমন পরিস্থিতি চলছে যে একটি ইউনিয়নের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে অথচ জেলা প্রশাসন ৩২ দিনেও জানে না। যার সম্ভ্রমহানি ঘটানো হয়েছে সে ভয়ে প্রশাসনের কাছে যায় না। এমন পরিবেশে সভ্য মানুষরা কীভাবে বাস করবে? নির্যাতিতার মনে এ ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, তার নিপীড়কদের আশ্রয়দাতা হচ্ছে রাষ্ট্র। তাই শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েও তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেতে পারছে না। পুলিশ ধর্ষকদের ধরে না। অথচ কাল আমরা যদি একটা মিছিল করি পুলিশ দেখবেন সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। পেছন থেকে টপাটপ বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ধরতে শুরু করবে।
উল্লেখ্য, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিবস্ত্র করার পর ভিডিওধারণ করে তা ইন্টারনেটে আপলোড করার পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।’