মনপুরা অভিযানে পুলিশ শিকারীদের ধরতে পারিনি, হুমকির মুখে বনের বিভিন্ন প্রজাতির পাখি
মোঃ ছালাহউদ্দিন,মনপুরা : মনপুরা উপজেলার মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কাজীর চর ও চর মোজাম্মেল মধ্যবর্তী থেকে বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাখি শিকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ। বোট নিয়ে পাখি শিকার করতে আসলে বন বিভাগের ১নং ইউনিয়ন বিট অফিসার মোঃ ইকবাল বন বিভাগের রেঞ্জকর্মকতাকে বিষযটি অবহিত করে। বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানালে শিকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ভোলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভুমি মনপুরা। পাখির কলকাকলীতে মুখরিত উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলগুলো। এসব চরাঞ্চলে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও হরিন অবাধে বিচরন করে। পাখির এসব শান্তিপুর্ন চরাঞ্চলে এক শ্রেনীর পাখি দস্যু পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বংশ নিধন করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে অপর দিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংশ করছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, কাজীর চর ও চর মোজাম্মেল মধ্যবর্তী নদীতে বনপ্রহরীরা একটি ষ্টিল বোট দেখে পাখি শিকার করতে পারে বলে সন্দেহ হলে বিষয়টি বনবিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে কলাতলী ফাড়ির পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিকারীদের দাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে শিকারীরা হাতিয়ার মেঘনায় ডুকে পড়ে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।এব্যাপারে বনবিভাগের হাজির হাট বিট কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল আলম বলেন ,মনপুরা ইউনিয়ন বিট কর্মকর্তা শিকারীদের বিষয়ে অবহিত করলে আমরা সকল বন প্রহরীসহ শিকারীদের ধরার জন্য চেষ্টা করি। তবে আমাদের নৌযান সংকটের কারনে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে পারিনি। আমাদের বনপ্রহরীরা আন্তরীকভাবে বন্য পাখি ও হরিন রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
এব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্য গাজী মোঃ সাইদুর রহমান বলেন,শিকারীদের খবর পেয়ে আমি কলাতলী ফাড়ির পুলিশকে পাঠিয়েছি।তারা অভিজান পরিচালনা করে শিকারীদের ধাওয়া করলে শিকারীরা হাতিয়ার মেঘনায় ঢুকে পড়ে।পরে বিষয়টি হাতিয়া থানার ওসিকে অবহিত করছি।