মনপুরায় মৎস্য অভিযান নিয়ে জেলে আড়তদারদের অভিযোগের অন্ত নেই ॥ আটককৃত ৩টি ট্রলার ছাড়িয়ে নিতে চলছে দরকষাকষি
মোঃ ছালাহউদ্দিন,মনপুরা : ভোলার মনপুরা উপজেলায় মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষার অভিযান নিয়ে মনপুরার জেলে আড়তদারদের মধ্যে থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ১৩ অক্টোবর অভিযানে আটককৃত ৩টি ট্রলার ছাড়িয়ে নিতে প্রশাসনের সাথে দরকষাকষি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করতে ভোলা জেলা থেকে ১ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। মনপুরায় ১৩ অক্টোবর ও ১৪ অক্টোবর ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার সংলগ্ন মৎস্য ঘাট থেকে দক্ষিনে দাসের হাট ও উত্তরে নাইবের হাট পর্যন্ত মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।কিন্তু দক্ষিনে কোড়ালিয়া, উত্তরে কলাতলী চর, পূর্বপাশে মেঘনায় অভিযান না দেওয়ায় সেখানে অবাধে জেলেরা মা ইলিশ শিকার করছিল। এতে এ অঞ্চলের জেলে ও আড়তদাররা অভিযোগ করে উত্তর ও দক্ষিন প্রান্তরের সাথে প্রশাসনের রফাদফা হয়েছে। এছাড়াও একই স্থান থেকে ১৩,১৪,১৫ অক্টোবর অভিযান পরিচালনা করায় ইলিশ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা প্রশাসন কখন কোথায় অভিযান দেবে তা আগ থেকে জেনে যায়। পরে এক পর্যায়ে হাজিরহাট ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন হাওলাদার ও প্রেস ক্লাব সম্পাদক সালাউদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে উপজেলা মৎস্য অফিসারের সাথে অভিযান নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা জানান। এছাড়া যখন মেঘানয় প্রশাসন অভিযানে যায় তখন প্রশাসনের সাথে বোটের লোকজন মৎস্য ও নির্বাহী অফিসের লোকজন সহ পুলিশ প্রশানের লোকজন যায়। এতে একবোটে কমপক্ষে ১৫/২০ জন অভিযানে যায়। সবার সাথে তখন মুঠোফোন চালু থাকে এতেই জেলেরা খবর পেয়ে যায় কোন জায়গায় অভিযান চলছে তখনই জেলেরা ছটকে চলে যায়। আর যাদের সাথে প্রশাসনের কোন যোগাযোগ নেই শুধূ তারাই ধরা পড়ছে বলে জেলেরা জানায়। আগ থেকে খবর পাওয়ায় অন্য তিনপ্রান্তে ততক্ষনে জেলেরা নির্বঘেœ মৎস্য শিকার করে যাচ্ছে। জেলেরা বলছেন, অভিযানে যাওয়ার আগে সবার মোবাইল বন্ধ বা নিয়ে নিলে অসাধু জেলেরা আর খবর পাবেনা তখন আরো জেলে ধরা পড়বে। এদিকে গত ৫ দিনের অভিযানে আটককৃত মা ইলিশ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। আটককৃত মাছগুলো যারা অভিযানে তারাই নাকি ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। মনপুরায় কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্যই জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছে বলে জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা যায়। উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ে থেকে সকল অভিযোগে অস্বীকার করা হয়েছে।