মতিন রহমান চলচ্চিত্র নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন
মতিন রহমান চলচ্চিত্র নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন
পরিচালক মতিন রহমান পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। চলচ্চিত্রের ওপর গবেষণার জন্য এই ডিগ্রি অর্জন করে দেশীয় চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে তিনি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে লোকজ উপাদানের প্রয়োগ কৌশল ও নন্দন ভাবনা’ বিষয়ের ওপর মতিন রহমান গবেষণা করে এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, এ জে কারদারের ‘জাগো হুয়া সাভেরা’, জহির রায়হানের ‘বেহুলা’, সালাহউদ্দিনের ‘রূপবান’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমনি’ এই ছয়টি সিনেমার নির্মাণে লোকজ উপাদানের প্রয়োগ কীভাবে হলো এবং তার নন্দন ভাবনা ছিল কী না তা নিয়েই গবেষণা করেছেন মতিন রহমান।
চলচ্চিত্রগুলোর গান, সংলাপ ও পোশাকে লোকজ উপাদানের প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে এর নতুন করে বিচার করে মতিন রহমান প্রমাণ করেছেন যে, এসব সিনেমাতে নন্দন ভাবনা ছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. আমিনুল ইসলাম দুর্জয়ের অধীনে মতিন রহমান এই গবেষণা করেন। তার পরীক্ষক হিসেবে ছিলেন ড. কাবেরী গায়েন ও ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন প্রসঙ্গে মতিন রহমান বলেন, ‘জানি এটি এভারেস্ট বিজয়ের মতো কোনো ঘটনা নয়, তবে আমার এই অর্জনে আমি তৃপ্ত।’ প্রসঙ্গত, মতিন রহমান দীর্ঘ পনেরো বছর যাবৎ রাজধানীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
মতিন রহমান ১৯৯২ সালে পরিচালনা করেন অন্ধ বিশ্বাস। এই চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি নির্মাণ করেন সালমান শাহ ও শাবনূর জুটিকে নিয়ে তোমাকে চাই (১৯৯৬), মন মানে না, রিয়াজ, শাকিল খান ও শাবনূর অভিনীত বিয়ের ফুল (১৯৯৯) ও নারীর মন (২০০০), রিয়াজ, শাবনূর, ও ফেরদৌস আহমেদ অভিনীত এ মন চায় যে…! (২০০০), রিয়াজ ও শাবনূর অভিনীত মাটির ফুল (২০০৩) ও মহব্বত জিন্দাবাদ। ২০০৪ সালে রিয়াজ ও শ্রাবন্তিকে নিয়ে নির্মাণ করেন কমেডি ধাঁচের রং নাম্বার। ২০০৫ সালে নির্মাণ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গল্প অবলম্বনে রাক্ষুসী। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রোজিনা ও ফেরদৌস আহমেদ। ২০০৮ সালে পরিচালনা করেন তোমাকেই খুঁজছি।