মজুদের মাধ্যমে সঙ্কট সৃষ্টি করেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে :আমদানির পাশাপাশি উৎপাদনে স্বয়ম্ভর হওয়ার পরামর্শ

28/09/2013 7:45 pmViews: 15

images-200x125কাওসার রহমান ॥ ভারতে পেঁয়াজের মুল্য বৃদ্ধিকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীদের মজুদের মাধ্যমে সঙ্কট সৃষ্টির কারণেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও ব্যবসায়ীদের কারসাজির মাধ্যমে সঙ্কট জিইয়ে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে একদিকে যেমন বাজারে সঙ্কট থেকে যাচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের কোন পদক্ষেপই কাজে আসছে না। এতে এখনও বাজারে পিয়াজের উচ্চ মূল্যই বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নীতি গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) এক গবেষণায়ও এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ গবেষণা সংস্থাটি সম্প্রতি বাংলাদেশে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক গবেষণা চালায়। ওই গবেষণায় বেরিয়ে আসে হঠাৎ কি কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে তার বিস্তারিত চিত্র। আইএফপিআরআই বাংলাদেশকে বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ লক্ষ্যে কম জমি থেকে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
জুলাইয়ের প্রথম থেকে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। মাঝখানে একটু কমলেও তা আবার বেড়ে গিয়ে বর্তমানে উচ্চ মূল্যই বিরাজ করছে। যদিও সরকার টিসিবির মাধ্যমে পিয়াজ আমদানি করে স্বল্পমূল্যে বাজারে ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আমদানিকৃত পেঁয়াজের পরিমাণ এতই কম যে, বাজারে তা কোন প্রভাব ফেলতে পারছে না। তবে বেসরকারী পর্যায়ে বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও, খুচরা বাজারে দেশী-বিদেশী পিয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির সুফল ক্রেতারা পাচ্ছে না।
বাংলাদেশের চাহিদার ৬০-৭০ শতাংশই মেটানো হয় আমদানি করা পেঁয়াজ দিয়ে। এর পুরোটাই আসে ভারত থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর হয়ে। কিন্তু কয়েক মাস আগে ভারতের যেসব রাজ্য থেকে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় সেসব রাজ্যে অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে ভারতেই সৃষ্টি হয় পেঁয়াজ সঙ্কট। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এ সঙ্কট সৃষ্টির সুযোগ নেয়। তারা পেঁয়াজের মজুদ গড়ে তুলে বাজারে কৃত্তিম সঙ্কট সৃষ্টি করে। ফলে আগে থেকে বিকল্প বাজার সৃষ্টি না করায় বাংলাদেশে দফায় দফায় বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম।
আইএফপিআরআইর গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য
বাংলাদেশে রান্নায় পেঁয়াজ খুবই জনপ্রিয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। চলতি দশকে পেঁয়াজের চাহিদা ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ চাহিদা ২০১০ সালে ১২ লাখ ৩০ হাজার টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০ সালে ১৮ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত হবে। তবে আয় বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করলে এ চাহিদা ৬৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে ২০ লাখ ৮০ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে।
পেঁয়াজ চাষ বাংলাদেশে খুবই লাভজনক। ২০১২ সালে পেঁয়াজের ব্যবসায় মুনাফার পরিমাণ ছিল প্রতি টনে ৯১ শতাংশ। জমির দাম ও পারিবারিক শ্রম বিবেচনায় ধরলে বতমানে এ মুনাফার হার হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এখনও ৩৭ শতাংশে অবস্থান করছে। বাংলাদেশে পেঁয়াজ একটি বাণিজ্যিক পণ্য। চাষীরা উৎপাদিত পেঁয়াজের ৮৬ শতাংশই বিক্রি করে দেয়।
অতিরিক্ত মুনাফার কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়ে চলেছে। ২০০৪-০৫ সাল থেকে ২০১১-১২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর পিয়াজ উৎপাদন গড়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়ে চলেছে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের দখলে। ২০১১-১২ সালে পেঁয়াজের প্রাপ্যতা ছিল ১৩ লাখ টন। এর এক পঞ্চমাংশ পেঁয়াজই আমদানিকৃত। আর ঢাকা জেলার পাইকারী বাজারে মজুদকৃত পেঁয়াজের ৬০ শতাংশই ছিল আমদানিকৃত।
কারণ অনুসন্ধ্যান ॥ গত জুলাই মাস থেকে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধ্যান করতে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজই বাংলাদেশের বাজার মূল্য নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশ্বে পেঁয়াজের চাহিদার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ পেঁয়াজ চাষ হয় ভারতে। উৎপাদিত পেঁয়াজের ১০ শতাংশ ভারত রফতানি করে। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে যায় ভারতের পেঁয়াজ।
সুপরিশ ॥ ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিন ধরনের সুপারিশ করেছে। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি এ সুপারিশে বাংলাদেশকে বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি পিঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এজন্য কম জমি থেকে বেশি পিঁয়াজ উৎপাদনের জন্য উচ্চ ফলনশীল পিঁয়াজ বীজ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
স্বল্পমেয়াদি সুপারিশ ॥ ভারতের ওপর থেকে পেঁয়াজ আমদানির নির্ভরশীলতা কমানো। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে উৎপাদন ক্ষতির কারণে বিকল্প উৎস থেকে পিঁয়াজ আমদানি করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য বিকল্প উৎসগুলো হচ্ছে- চীন, মিসর, মালয়েশিয়া, মিয়ামনমার, পাকিস্তান, তুরস্ক ও ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ এ সকল দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে দ্রুত পিয়াজ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারে।
সতর্কতার সঙ্গে পেঁয়াজের আমদানি মূল্য বিবেচনায় নিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। যাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম অস্বাভাবিক কমে না যায় এবং কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়। বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর সময়ে মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ নজর রাখতে হবে। পেঁয়াজের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে কৃষকে সময়মতো মানসম্পন্ন বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করতে হবে। যাতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা ক্রমান্বয়ে কমে আসে। মধ্যমমেয়াদি সুপারিশ- অধিকসংখ্যক ব্যবসায়ী যাতে পেঁয়াজের ব্যবসায় আসে সেই অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সে সঙ্গে মজুদবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। এতে পেঁয়াজের বাজারে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে এবং কারসাজি বা যোগসাজশ করে মুনাফা করার প্রবণতা কমে আসবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিসংখ্যানের মানোন্নয়ন করতে হবে। কৃষি পণ্য উৎপাদনে মানসম্পন্ন তথ্য নীতি নির্ধারণে সহায়ক হবে।
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ-অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানো। বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ খুব কম। তাই জমির আওতা না বাড়িয়ে ভবিষ্যতে ফলন বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। সে সঙ্গে নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে পেঁয়াজের সমস্যা সমাধানের জন্য। এজন্য গবেষণা বাড়াতে হবে। উপযুক্ত নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার মাধ্যমে কৃষকের কাছে এ প্রযুক্তি নিয়ে যেতে হবে। যাতে কৃষক সেটাকে লাভজনক মনে করে।
বর্তমান পরিস্থিতি ॥ পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে দাম আগের মতোই অব্যাহত আছে। তিন দিন ধরে পেঁয়াজের আমদানি বেশি হওয়ার কারণে দামও কমছে পাইকারি বাজারে। কিন্তু কমছে না খুচরা বাজারে। সে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা আবার কারসাজি করে দেশী পেঁয়াজের সঙ্গে অবিকল একই রকম বিদেশী পিঁয়াজ মিশিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে। বর্তমানে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে দেশী ও আমদানিনির্ভর পাকিস্তানি পেঁয়াজ। চায়না মোটা পেঁয়াজ নাসিক নামে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। এতে ঠকছে ক্রেতারা।
জানা যায়, খুচরা বিক্রেতরা দেশী পেঁয়াজের সঙ্গে পাকিস্তানী পেঁয়াজ মিশিয়ে বিক্রি করছে। একই রকম দেখতে হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের চেনার উপায় নেই যে কোনটা পাকিস্তানী আর কোনটা দেশী পেঁয়াজ। একইভাবে বিক্রি হচ্ছে বার্মিজ পেঁয়াজও। ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে কমদামি চায়না মোটা পেঁয়াজ।
বাংলাদেশে ভারতের মোটা নাসিক পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। দাম বেশি হওয়ায় এ পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কিছু অসাধু খুচরা ব্যবসায়ী সস্তা দামের চায়না পেঁয়াজ নাসিক পেঁয়াজ হিসেবে বিক্রি করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ॥ বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের টিসিবির পিঁয়াজ স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সে সঙ্গে পেঁয়াজের আমদানি, সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে আরও বেশি তৎপর হতে বলেছেন। দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে যাতে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র না হয় বা কৃত্রিম উপায়ে পিঁয়াজের সঙ্কট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধি করা না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে টিসিবি ঢাকাসহ দেশব্যাপী ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রয় করছে। বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালু থাকবে বলে টিসিবি জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নতুন করে পাকিস্তান থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা করছে। যাতে করে কম দামে ক্রেতা পিঁয়াজ কিনতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ন কবির জানিয়েছেন, টিসিবি পাকিস্তান থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। এছাড়া চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৩০০ টনের একটি লট বাংলাদেশে আসবে।
উল্লেখ্য, ভারতের নতুন পেঁয়াজ উঠা শুরু হয়েছে। ফলে আশা করা হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম খুব শীঘ্রই কমে আসবে।
জানা যায়, প্রতিকূল আবহাওয়ায় ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় দেশটিতে পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে। এমন অবস্থায় সম্ভাব্য সঙ্কট এড়াতে সে দেশের সরকার পেঁয়াজ রফতানির ন্যূনতম মূল্য ৯০০ ডলার বেঁধে দেয়। এতে আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। পেঁয়াজ আমদানিতে সুদ ১২ শতাংশ
২০১১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিতে ব্যাংক ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ বেঁধে দেয়। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালের জানুয়ারিতে অন্য এক সার্কুলার জারি করে নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেয়। পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যাংকগুলো ১০০ শতাংশ মার্জিন এবং সুদহার ১৮ থেকে ২০ শতাংশ রাখায় আমদানিকারকরা নিরুৎসাহিত হয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা কমিয়ে দেয়। ফলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ করার অনুরোধ জানায়।
এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পেঁয়াজের দাম সহনীয় করতে আমদানিকারকদের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুদ হার কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে মার্জিন বেঁধে না দিলেও তা ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত আমদানি বাড়িয়ে আসন্ন ঈদ-উল-আযহার আগে পেঁয়াজের দাম সহনীয় করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply