ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান রোববার জানান, এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৯৪০ জন আহত হয়েছেন।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০,
তুরস্কে গত শুক্রবার আঘাত হানা শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ভূমিকম্পে গ্রিসেও দুইজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান রোববার জানান, এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৯৪০ জন আহত হয়েছেন।
একে পার্টির এক সমাবেশে তিনি বলেন, বর্ষা ও শীত আসার আগেই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ইজমিরের ভাইবোনদের ক্ষতি সারিয়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এর আগে শনিবার রাতে প্রেসিডেন্টে এরদোগান বলেন, ধ্বসে যাওয়া স্থাপনার ভগ্নাংশ সরিয়ে সেসব স্থানে দ্রুতই ভবন নির্মাণ শুরু করা হবে এবং যাদের বাসা-বাড়ি গুড়িয়ে গেছে সেগুলো দ্রুতই তৈরি করে দেয়া হবে।
তুর্কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তি কোচা বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১০৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ৭০২ জনকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে হয়েছ। ২১৮ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আট জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন যাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর।
ইজমিরের মেয়র বলেছেন, ভূমিকম্পে অন্তত ২০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর থেকে অনবরত আফটার শক হওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৯০২ আফটার শক হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি গুরুতর ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও গ্রিস পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বার্তা আদান প্রদান করেছে। বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে এই প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছিল।
এসময় এরদোগান ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস পরস্পারিক সংহতি বার্তা আদান প্রদান করেন।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন, আমাদের মধ্যকার যতই বিভেদ থাকুক, এই কঠিন মুহুর্তে আমাদের জনগণের একসাথে থাকা প্রয়োজন।
এরদোগানও টুইট বার্তায় জানান, তুরস্কও সব সময় গ্রিসের বিপদে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে। এই দুই প্রতিবেশী তাদের কঠিন সময়ে যে পারস্পারিক সহমর্মিতা জানিয়ে তা জীবনের অনেক কিছুর চেয়ে মূল্যবান।
১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেও দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ ও রয়টার্স