ভোলায় ৩ শতাধিক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৬
ভোলা সংবাদদাতা: ভোলার বোরহানউদ্দিনের ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পথচারী নিহত ও বিআরটিসি বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১টার দিকে নিহত পথচারী আকমলের বাবা দীন ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা একদেড়শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, বিআরটিসি বাস চালক সুলতান বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্খে করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২শ’ শিক্ষার্থীকে আসামি করে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ভোরের দিকে ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন-দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র দিপু মজুমদার ও সুবল মজুমদার, চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র সোহানুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক ও রাশেদ এবং ষষ্ঠ সেমিস্টারের শাহ ফরহাদ।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈনুল হাসান জানান, পৃথক দুটি মামলা হয়েছে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে, গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে কলেজে কোনো ক্লাস হয়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে দুই দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ভোলা-চরফ্যাশন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস ও যাত্রীবাহী একটি বাস ভাঙচুর করে তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আকমল হোসেন নামে এক পথচারী আহত হন। সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
















