ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ ॥ আহত অর্ধশত

02/12/2013 12:19 pmViews: 10

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলায় বিএনপি নেতা দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নোমান মো: ছফিউল্লাহকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী ব্যাপক সংর্ষে ভোলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ককটেল, টিআরসেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ সময় টিভির ক্যামেরা ম্যান উৎপল দেবনাথ ও চ্যানেল টুওয়ান্টি ফোরের ক্যামেরা ম্যান বিপ্লবকে বেধরক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ছাড়াও সংঘর্ষের সময় সাধারণ পথচারীসহ অর্ধশত বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। দিনভর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
অপর দিকে এ ঘটনার আগে শান্তিপূর্ণভাবে সর্বদলীয় সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভোলা ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষর্শীরা জানায়, সকালে সদর উপজেলার ঘুইংঘার হাট এলাকায় অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই সকাল ১০টার দিকে ভোলা সদরের ব্যাপারির দোকান এলাকা থেকে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নোমান মো: ছফিউল্লাহকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বরিশালের দালান পর্যন্ত এলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ব্যাপক ইট পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভোলা সদর রোডের জিয়া মার্কেট থেকে কালী নাথ রায়ের বাজার পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভোলা পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ওয়েস্টার্ন পাড়া, মহাজনপট্টি ও সদর রোড এলাকায় বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের উপর লাঠিচার্জ করে।  এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সময় টিভির ক্যামেরা ম্যান উৎপল  ও চ্যানেল এ সময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। শহরের দোকান পাট সব বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক মিয়া জানান, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে।

Leave a Reply