ভোলায় পুলিশ- বিএনপি- আ’লীগ ত্রি-মুখি সংঘর্ষ পুলিশসহ আহত শতাধিক, গুলিবিদ্ধ -২, আটক ৪
ভোলা সংবাদদাতা: নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের পক্ষে বিপক্ষে মিছিলকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহান আ’লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রী -মুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বোরহান উদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ, ৩ পুলিশসহ দু’দলের প্রায় ৮০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে বিএনপির দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরা হলেন পৌর যুবদল নেতা নোমান, ও পৌর ছাত্রদল সম্পাদক আবু জাফর মৃধা। পুলিশ শতাধিক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনের চেষ্টা করেছেন। এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন সময় পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
রোববার বিকেল ৫ টা থেকে থেমে থেমে রাত ৮ টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে উপজেলা বিএনপি হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে থানা মোড়ে এলে আ’লীগ কর্মীরা বাধাঁ দিলে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা কালে এক পর্যায়ে পুলিশের সংঙ্গে বিএনপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । থেমে থেমে পুলিশ -বিএনপি সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ পরিস্ত্রিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে ৮১ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১৫ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
তবে পুলিশ দাবী করছে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের উপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার মুনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ পিকেটারকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে দৌলতখানে পুলিশ – যুবদলের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০ দিকে উপজেলার মিয়ার হাট যুবদল হরতালের পক্ষে মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে, ইউছুফ, জসিম, জুয়েল, রশিদ, জাকির, হাসনাইন, হাসানের নাম জানাগেছে।
এ ছাড়া ঘুইংঘার হাট এলাকায় একটি অটো রিক্্রা ও দুটি রিক্্রা পিকেটাররা ভাংচুর করেছে।
শহরের অধিকাংশদোকান পাট বন্ধ ছিল। জেলার অভ্যন্তরীন রোডে ও দুপাল্লার যান চলাচল বন্ধ ছিল।
দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্নস্থানে বিপুল সংখ্যাক পুলিশমোতায়েন করা হয়েছে।