ভারতের কাছে ডান্সিং গার্ল ফেরত চাইছে পাকিস্তান
করাচি: সাড়ে চার হাজার বছরের পুরোনো ব্রোঞ্জের মূর্তিটি ফেরত পেতে চায় পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ৷ ‘ড্যান্সিং গার্ল’ নামে পরিচিত এই মূর্তি প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার সবচেয়ে নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির অন্যতম৷ বর্তমানে এটি নয়া দিল্লিতে রয়েছে৷
মহেনজোদাড়ো এলাকায় খননকার্য চালাতে গিয়ে ১৯২৬ সালে এই মূর্তিটি আবিষ্কার করেন বাঙালি প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পরবর্তীকালে ইংরেজ পুরাতাত্ত্বিক স্যর মর্টিমার হুইলার একটি প্রদর্শনীর জন্য মূর্তিটি নয়াদিল্লিতে নিয়ে আসেন৷ ১৯৪৬ সাল থেকে মূর্তিটি নয়াদিল্লির জাদুঘরেই আছে৷
পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশে সম্প্রতি আসিফ আলি জারদারি ও বিলাওয়াল ভুট্টোর উদ্যোগে সিন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে৷ ফলে ওই অঞ্চলের মানুষ নতুন করে আগ্রহী হয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে জানতে৷ এরই সুযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ইসলামাবাদে আবেদন করেছে এই মূর্তিটি ভারতের কাছ থেকে ফেরত আনার জন্য৷ দেশ ভাগের আগে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে এই মূর্তিটি ছাড়াও অন্য আরও একটি মূর্তি ভারতে ছিল৷ সোপস্টোনে তৈরি এই মূর্তিটি মহেনজোদড়ো শহরের কোনও পুরোহিত এবং রাজার বলে অনুমান করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা৷ এই দু’টি মূর্তি ছাড়াও গান্ধার শিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘উপবাসক্লিষ্ট বুদ্ধ’ নামে আরও একটি মূর্তি রাখা ছিল ভারতে৷ কিন্ত্ত ১৯৪৭ সালের পর এক পাকিস্তানি প্রতিনিধি ভারতে এসে আলোচনার পর দু’টি মূর্তি ফেরত নিয়ে যান৷ কিন্ত্ত ১০.৮ সেন্টিমিটার উচ্চতার নৃত্যরত কিশোরীর মূর্তিটি ভারতেই থেকে গিয়েছিল৷ বলা হয়, যেকোনো একটি মূর্তি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ভারত সরকার৷ তখন সোপস্টোনের মূর্তিটিই বেছে নেয়া হয়৷ এ বার এই মূর্তিটিও ফেরত পাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে৷ – সংবাদসংস্থা