বোমা ফাটানো মাদ্রাসা ছাত্রদের কর্ম নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বোমা ফাটানো মাদ্রাসা ছাত্রদের কর্ম নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত উদার মনের, ভ্রাতৃত্বপ্রিয়। এখানে জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। প্রথমে লক্ষ্য করেছিলাম ছোট ছোট ছেলেদের। বলতো-এরা মাদ্রাসার ছাত্র। এরা এই সমস্ত বোমা ফাটাচ্ছে। আমি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে দিনের পর দিন কাজ করেছি। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, এগুলি মাদ্রাসার ছাত্রদের কর্ম নয়। তাহলে এগুলি কারা করে? এগুলি করে যারা ষড়যন্ত্র করতে চায়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের পথে হাটেছে তখন গতিরোধ করতে নানা ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। দেশ যখন উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে, একের পর এক মেগা প্রজেক্ট আসে তখন জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দেয়। ইসলামকে কলঙ্কিত করতে ইসলামের নাম দিয়ে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। যেন দেশের উন্নয়নের গতিরোধ করা যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজকে শুধু দেশের নেত্রী নন, সারাবিশ্বে প্রশংসিত নেতা। সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। সারাবিশ্বে যখন জঙ্গির উত্থান, তখন কীভাবে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করছি! কীভাবে আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি!’
তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কথাও বলতে হবে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জ, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে তারা জীবনকে বাজি রেখে একের পর এক চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। যেখানে যা ঘটনা ঘটছে, পুলিশ হয় আহত হয়েছে, নয় শাহাদাত বরণ করেছে। শোলাকিয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুলিশের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য, লোকবল বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সেই কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, জনতার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আজকে আমরা জঙ্গিদের কন্ট্রোল করতে পেরেছি। আমরা সব সময় বলি- আমরা নির্মূল করতে পারিনি। সেই জন্যই বলি, আপনারা যে যেখানে আছেন আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আজকে কিন্তু হচ্ছেও তাই। মা তার ছেলেকে আমাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। বলছে- আমার ছেলেটা বিপথে চলে গিয়েছিল। তাকে ক্ষমা করে দেন, আমি ধরিয়ে দিয়ে গেলাম। সেই দেশ বাংলাদেশ।
রাজশাহী মেট্রাপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বেগম আকতার জাহান, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন, শোলাকিয়া ঈদগাহ’র ঈমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবসুনন্দ মহারাজ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।
সভায় জেলার সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা অংশ নেন।