বেড়েছে পেঁয়াজ আলু ও দুধের দাম
ঢাকা : রমজানের মাঝামাঝি এসেও রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজ আলু ও গুঁড়ো ও তরল দুধের দাম বেড়েছে। এছাড়া কাঁচার মরিচের কেজি এখনো ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবছর সরকারিভাবে এইসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও দোকানিরা তা মানছে না। তাই খুচরা বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। তবে ছোলা, সয়াবিন তেল, মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, রসুন, চিনি ও আটা ময়দার দাম কিছুটা কমেছে। রমজান শুরুর পর থেকে পেঁয়াজ ও দুধের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। হটাৎ করে বেড়েছে আলুর দাম। তাও কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেশি। তবে স্থিতিশীল আছে চালের দাম।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এক কেজি দেশী পেঁয়াজ কিনতে গুণতে হচ্ছে ৪৮ টাকা আর আমদানিনির্ভর পেঁয়াজ মিলছে তিন টাকা কমে ৪৫ টাকায়।এছাড়া দাম বেড়েছে গুঁড়া দুধেরও। প্যাকেটজাত তরল দুধের দাম প্যাকেটে লেখা দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউনহল মাকেট ও ধানমন্ডি বাজার ঘুরে দেখা গেছে দেশী পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ রমজানের আগে দেশী পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। আর রমজানের এক মাস আগে দেশী পেঁয়াজ ছিল ৩২ থেকে ৩৪ আর আমদানি করা পেঁয়াজ ২৬ থেকে ২৮ টাকা।
গত দুই মাস ধরে আলু ১৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার দেখা গেছে ১৮ টাকায় বিক্রি হতে। কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা।
দোকানিরা জানান, এতোদিন বাইরে থাকা আলু বিক্রি হয়েছে ১৪-১৫ টাকায়। এখন স্টোরের আলু ১৭-১৮ টাকা খুচরা বিক্রি হচ্ছে। আগেও স্টোরে থাকা আলুর দাম বেশি ছিল। রমজানের শুরুর দিকে স্টোর থেকে কিছু আলু আনা হয়েছিল। কিন্তু কম দামেরটাই বেশি বিক্রি হতো। এখন আবার স্টোরেরগুলো আনা হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০, সিম ১৬০, ছোলা ৬০ থেকে ৬৫, মশুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০, রসুন(দেশী) ৮০, ও (আমদানি করা) ৬৫ টাকা, শুকনো মরিচ ১৮০, বেসন ১০০ টাকা, পটোল ৩০ থেকে ৪০, বেগুন ৬০ থেকে ৭০, কাকরোল ৩০, করলা ৪০, ফুলকপি ৫০, বাঁধা কপি ৪০, শসা ৪০ ও গাজর ৫০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০-১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বছর রমজান মাসে গরুর মাংস ২৭৫ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৪৫০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ঢাকা সিটি করপোরেশন। মাংস ব্যবসায়ীরাও এ মূল্য মেনে নেন। কিন্তু মূল্য তালিকা টাঙিয়েও গরুর মাংস ৩০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৪৭০ টাকা কেজি দরে দেদারছে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
রমজানে সবজির দাম মোটামুটি কম থাকলেও মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।মাছ বিক্রেতারা জানান, রমজান মাসে মাছের চাহিদা বেড়ে যায়।তাই দামও বেড়ে যায়। কারণ চাহিদার তুলনায় আমদানি হয় না।
বাজারে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে জোড়া প্রতি এক হাজার টাকা। আর ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ৪০০ টাকায়।