বেগমগঞ্জসহ সব নির্যাতনের পেছনে সরকারি দলের নেতা–কর্মীরা: মান্না

11/10/2020 11:10 pmViews: 10

বেগমগঞ্জসহ সব নির্যাতনের পেছনে সরকারি দলের নেতা–কর্মীরা: মান্না

 

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না
ফাইল ছবি

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন,  পিটিয়ে, নির্যাতন করে, দমন করে আন্দোলন দমন করতে পারবেন না; সে গুঁড়েবালি। বেগমগঞ্জসহ যত নির্যাতন হয়েছে, সব কটির পেছনেই আছে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা।

নোয়াখালী, সিলেটের এমসি কলেজসহ দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবিতে সচিবালয়ের বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ চলে। সেখানেই সংহতি জানিয়ে কথাগুলো বলেন মান্না। তিনি সরকারি দলের উদ্দেশে বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও সমাবেশের সভাপতি জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে একসঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। এর অর্থ হলো জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলে ধর্ষণ বন্ধ হবে না। প্রতিটি ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, যারা রাতের আঁধারে ভোট কেটে নেয়, তারা মাস্তান ও পুলিশ গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে টিকে আছে। যখন সে গুন্ডারা ধর্ষণ করে, তাদের বিচার এ সরকার করতে পারবে না।

আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। তিনি বলেন, দুনিয়াতে কোথাও বৃদ্ধরা পরিবর্তন করেননি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণেরা। কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য তরুণদের মাঠে নামতে আহ্বান জানান তিনি।

প্রেসক্লাবের সামনে বাসদের অবস্থান
আজ দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণবিরোধী অবস্থান করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। সেখানে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, গত এক বছরে ১ হাজার ৪০০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তার ৭০ শতাংশ দরিদ্র নারী। ধর্ষকেরা দুর্বল, প্রান্তিক, দরিদ্র নারীদের ওপর নির্যাতন করেছে। এরা সবাই সরকারি দল, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী। এসব কারণে বিচার হয়নি।

নারয়ণগঞ্জ জেলা বাসদের সদস্য নিখিল দাস বলেন, দিনের ভোট যারা রাতে কেটে নিয়েছিল, তারাই আসলে ধর্ষণ করছে। এ কারণে বিচার হচ্ছে না।

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেতা রুখসানা আফরোজ বলেন, ধর্ষকেরা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে মুক্তি পাচ্ছে। এসব ঘটনার একটিরও বিচার হচ্ছে না।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ। বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বাসদের নেতা খালেকুজ্জামানসহ একাধিক নেতা।

Leave a Reply