‘বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতি ভবন সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না’
ঝিনাইদহের মহেশপুরে অবস্থিত বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতি মেমোরিয়াল ভবন যথাযথ সংস্কার ও সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক,ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, নির্বাহী প্রকৌশলী, মহেশপুর থানার ইউএনও সহ ছয়জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই ভবনের বর্তমান কী অবস্থায় আছে এবং সংরক্ষণে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার প্রতিবেদন আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে দাখিল করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মেমোরিয়াল সংক্রান্ত খবর একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন ‘সমাজের প্রতি যুবর উদ্দ্যোগ’ এর পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ রিট দায়ের করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন এবিএম আলতাফ হোসেন, তাকে সহযোগীতা করেন কামরুজ্জামান কাকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে এবিএম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানসহ যারা জাতির জন্য আত্ম বলিয়ান দিয়েছেন তাদের স্মৃতি যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যাবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে বীর শ্রেষ্ঠদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা উচিত। বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে ১৯৮১ সালে এই মেমোরিয়াল ভবন তৈরি করা হয়।