বীজ সংরক্ষণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া
বীজ সংরক্ষণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া
বীজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া
বীজ উৎপাদন থেকেই বীজ সংরক্ষণের শুরু। জমিতে এর বপন বা রোপনের মাধ্যমে বীজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ। তাহলে দেখা যাচ্ছে বীজ সংরক্ষণ বলতে বীজের উৎপাদন ,শুকানো ,প্রক্রিয়াজাতকরন,মান নিয়ন্ত্রণ,বিপণন যাবতীয় কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করাকেই বোঝায়।
বীজ সংরক্ষণের শর্তসমূহ
বীজ উৎপাদন:
বীজ শস্য উৎপাদনের জন্য নিন্মোক্ত বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:
১) কেবল বীজের জন্যই ফসলের চাষ করা;
২) নির্বাচিত জমির আশপাশের জমিতে নির্দিষ্ট বীজ ফসলের আবাদ না করা;
৩) বীজ উৎপাদনের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে বীজ সংগ্রহ করা;
৪) বীজের চারা বৃদ্ধিকালে ভিন্ন জাতের গাছ তুলে ফেলা ;
৫)বীজের ক্ষেত ঘন ঘন পরিদর্শন করা যাতে (১)আগাছা দমন (২)ভিন্ন জাতের তেলা ও (৩)রোগ-বালাই ও পোকা মাকড়ের উপদ্রব ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়;
৬)ফসলের পরিপক্বতার দিকে দৃষ্টি রাখা ;
৭)পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে ফসল কাটা ,মাড়াই করা ও ঝাড়া।
বীজ শুকানো :
বীজকে দীর্ঘায়ু দান ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য বীজকে শুকানো প্রয়োজন। বীজের জীবনীশক্তি ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বাড়াতে বীজ শুকানোর কোনো বিকল্প নেই। প্রকৃতপক্ষে বীজের আর্দ্রতা একটি স্ট্যান্ডার্ড মাত্রায় আনার জন্যই বীজ শুকানো হয়। ক্ষেত থেকে যখন ফসল কাটা হয় তখন এর আর্দ্রতা থাকে ১৮% থেকে ৪০% পর্যন্ত।এই আর্দ্রতা বীজের জীবনশক্তি নষ্ট করে ফেলে । তাই বীজকে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহারের নিমিত্তে বীজের আর্দ্রতাকে ১২%বা তার নিচে নামিয়ে আনা আবশ্যক। আর এ জন্যই বীজ শুকানোর প্রয়োজন হয়।
বীজ শুকানোর পদ্ধতি :
বীজ শুকানো দুই প্রকার ।যথা : (১)ক) প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক বাতাসে শুকানো (খ)স্বাভাবিক বাতান প্রবেশ করে শুকানো এবং (২)উত্তপ্ত বাতাস বীজ পাত্রে প্রবেশ করে শুকানো
বীজের চারিপার্শ্বস্থ যদি বীজের আর্দ্রতা থেকে বেশি হয় তবে বাতাস থেকে আর্দ্রতা বীজের মধ্যে প্রবেশ করে যতক্ষন পর্যন্ত না বীজ ও বাতাসের আর্দ্রতা সমান হয়। বীজের আর্র্দ্রতা প্রয়োজনীয় মাত্রায় রাখতে হলে চারির্পাশ্বস্থ বাতাসকে শুকানো রাখা প্রয়োজন।
বীজ শুকানোর সময় নির্ভর ারে (১) বীজের আর্দ্রতার মাত্রা (২)বাতসের তাপমাত্রাও আর্দ্রতার মাত্রা (৩)বাতাসের গতি এবং (৪)বীজের পরিমানের উপর
মনে রাখতে হবে যে, (১) বেশি তাপমাত্রায় বীজ শুকালেবীজের সমূহ ক্ষতি হয়। যেমন:বীজের জীবনীশক্তি ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা হ্রাস পায় । (২)অপর্যাপ্ত তাপে বীজ শুকালে একই রকম ক্ষতি হয় । অর্থাৎ বীজের জীবনীশক্তি ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা হ্রাস পায়।
পরিমিত তাপে দক্ষাতার সাথে বীজ শুকালো
ংসর্বোচ্চ মানের বীজ পাওয়া যায়।
ং বীজ দীর্ঘকাল সংরক্ষন করা যায়।
ং বীজের ব্যবসায় আর্থিক লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।