বিশ্ব শান্তি রক্ষায় কাজ করবে নৌবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের নৌবাহিনী যাতে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সরকার এ বাহিনীর আধুনিকায়ন করছে। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তা বাস্তবায়নের ফলে সেদিনের সেই ছোট্ট নৌবাহিনী আজ একটি মর্যাদাশীল ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হতে যাচ্ছে। আমরা কোনো যুদ্ধবিগ্রহ চাই না, চাই শান্তি।
রোববার বাগেরহাটের মংলায় নেভাল বার্থ দিগরাজে বানৌজা কে জে আলী, বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়ার কমিশানিং এবং নবনির্মিত ল্যান্ডিং ক্রাফট ট্যাংক (এলসিটি) ১০৩ ও ১০৫ এর সংযুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনী শুধু দেশে নয়, দেশের জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীকে ‘দক্ষ, আধুনিক ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে দুটি সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে, যা ২০১৬ এর মাঝামাঝি নৌবাহিনীতে সংযোজিত হবে।
৭২০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল। বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি সমুদ্রপথেই পরিচালিত হয়। এ কারণে সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা জরুরি বলে জানান সরকার প্রধান।
নৌ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে সীমিত সম্পদ, তা দিয়ে নৌবাহিনীর মত একটি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যয়বহুল বাহিনীকে যুগোপযোগী রাখার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে দেশেই আরও উন্নতমানের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ সম্ভব হবে। নৌবাহিনীতে নতুন যুক্ত হওয়া এই নৌযানগুলো দেশেই তৈরি হয়েছে। দুটি এলসিটি তৈরি হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে। আর ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়া তৈরি হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি আরও একটি ফ্রিগেট এবং চীনে নির্মাণাধীন দুটি করভেট চলতি বছরেই নৌবহরে সংযোজিত হবে।