বিশেষ উদ্দেশ্যে মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করছে সরকার: মাহবুব
বিশেষ উদ্দেশ্যে মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করছে সরকার: মাহবুব
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হয়রানি করতে সরকার তার নামে করা দুর্নীতির দুই মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় সোমবার বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে সাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থাৎ যে মামলাগুলো আগে হয়েছে সে মামলার শুনানি আগে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই মামলার (খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা) পেছনে অনেক মামলা রয়েছে, কিন্তু সেগুলো নিস্পত্তি না করে সরকার বিশেষ উদ্দেশ্যে মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাদীকে জেরা শেষ হয়েছে, আগামীতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পাবো। সেইখানে বিস্তারিত আরো জেরা হবে। কাগজপত্র দেখানো হবে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ন ব্যক্তিগত ট্রাস্ট। ট্রাস্টের আইন অনুযায়ী ট্রাস্টের জন্য জমি ক্রয় করা যায়। এজন্য যে টাকা তোলা হয়েছে, সেই টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো নগদ লেনদেন হয়নি। যদি আত্মসাতে অভিযোগ করতে হয়, তাহলে ট্রাস্টের বিধান মোতাবেক তা করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক কোনো মামলা করতে পারেনা।’
খন্দকার মাহবুব বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে উজ্জীবিত করার জন্য খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন হিসেবে এই ট্রাস্টটি করেছেন। যে আদর্শ ছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শোষনমুক্ত সমাজ নির্মানের। সেই উদ্দেশ্যে এই ট্রাস্টটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ট্রাস্টে সরকারের একটি টাকাও ব্যবহার করা হয়নি। এটা ব্যক্তিগত ও জণকল্যানমুলক ট্রাস্ট। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করার জন্য এটি করা হয়েছে। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ সাংবাদিকসহ সুবিধাবঞ্চিতদের সহযোগিতার জন্য এই ট্রাস্টি করা হয়েছে। সারাদেশে আইনজীবিদের নির্বাচনের কারনে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ২৬ আগস্টের পর রাখার অনুরোধ করলেও আদালত ১০ আগষ্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহনের দিন ধার্য করে।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ২৬ আগস্ট সারাদেশে আইনজীবিদের নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে আমরা অনেকেই প্রার্থী রয়েছি। সেজন্য ২৬ আগস্টের পরে পরবর্তী তারিখ নির্ধারন করার জন্য কিন্তু মাননীয় আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেটি না করে ১০ আগষ্ট পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন। আমরা মনে করি, বার কাউন্সিল ৪৫ হাজার আইনজীবিদের একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার জন্য বিবেচনায় মাননীয় আদালত ২৬ তারিখের পরে দেওয়া উচিত ছিলো।