ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার নিজ দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদবিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার সেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর বাউফল ইউনিয়নের কর্মিসভায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খলিলুর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। এছাড়া মঞ্চসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে অমানবিক আখ্যায়িত করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘সেচ্ছাসেবক দল উপজেলার সদর বাউফল ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণ সভায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা নিঃসন্দেহে চরম কাপুরুষতা। ক্ষমতার নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই আওয়ামী অবৈধ সরকার রক্ত ঝরানোর খেলায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে সরকার নিজ দলের সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে।’

‘অশুভ উদ্দেশ্যেই তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে নারকীয় তাণ্ডব।’

বিএনপি মহাসচিব বাউফল ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণ কর্মিসভায় হামলাকারী ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান এবং আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করেন।