বিদেশী পতাকা টানানোয় জরিমানা
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় বিভিন্ন ভবন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে টানানো বিদেশি পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে এসব ভবন থেকে বিদেশি পতাকা সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বিদেশি পতাকা টানানোর অভিযোগে বাংলাবাজারসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনজনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে ভোলা জেলার সব উপজেলাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিদেশি পতাকা অপসারনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলাবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় আদালত বিদেশি পতাকা টাঙানোর অভিযোগে দিদারুল্ল্যাহ গ্রামের সালাউদ্দিনকে ৫০০ টাকা, একই গ্রামের সহিদকে ৫০০ টাকা ও উত্তর জয়নগর গ্রামের মো. রিয়াজকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার সকল ভবন থেকে বিদেশি পতাকা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়।
এর পর দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন ভবন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা।
দৌলতখানের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালায় ১৯৭২ সালের ৯ (৪) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে শুধুমাত্র দূতাবাস ছাড়া অন্য কোনো ভবন অথবা যানবাহনে বিদেশি পতাকা টাঙানো রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। তাই উপজেলার সকল ভবন থেকে বিদেশি পতাকা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা জানান, দৌলতখানের ইউএনও একটি ভালো কাজ করেছেন। দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি পতাকা উড়ানো রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। এটা যারা করছে তারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করছেন। তবে, শুধু আইন করে কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে এটা করা বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য মানুষের মূল্যবোধের প্রয়োজন। ভোলা জেলার সব উপজেলাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন ভবন থেকে বিদেশি পতাকা অপসারনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।