বিদেশী খুনে জড়িতদের পরিচয় শিগগিরই
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা রহস্য উদঘাটনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। খুব শিগগিরই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এবং এর সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় খুব শিগগিরই জানা যাবে।
রোববার সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নব নিযুক্ত ৩৩তম বিসিএস (আনসার) কর্মকর্তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের কারাগারগুলোতে প্রায় এক হাজার বিদেশী সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছে না। ওই সব বন্দিদের নিজ নিজ দেশের দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও তারা কারাগার থেকে তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছেন না। তিনি জানান, বাংলাদেশে ২ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ বিদেশী রয়েছে। তারা বিভিন্ন পেশায়, বিভিন্ন কোম্পানীর কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন কেউ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে শিক্ষা গ্রহণ করছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকালে সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে পৌঁছালে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নাজিম উদ্দীন তাকে স্বাগত জানান। মন্ত্রী একাডেমীর ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৩তম বিসিএস (আনসার) কর্মকর্তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও মাস্টার্স ইন হিউম্যান সিকিউরিটি (এমএইচএস) প্রোগ্রাম সমাপ্ত এবং সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ ব্যাচে ১৮জন সহকারি পরিচালক ১৫ মাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে ১৫জন পুরুষ ও তিন জন নারী রয়েছেন। অনুষ্ঠানে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহা পরিচালক ছাড়াও অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জসিম উদ্দিন, গাজীপুর জেলা আসনার কমান্ডেন্ট ড. মো. সাইদুর রহমান সহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্যদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছরের শুরুতে নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করার জন্য মহাপরিচালকের নেতৃত্বে সড়ক ও রেললাইনে ২০ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এ সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৯জন সদস্য শহীদ ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের এ আত্মত্যাগ দেশপ্রেমের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ব্যাটালিয়ান আনসারদের স্থায়ীকরণের সময়সীমা ৯ হতে ৬ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। সাধারণ আনসারদের চাকরির মাঝে বিরতিকালীন সময় ২ বছর হতে কমিয়ে ৬ মাসে আনা হয়েছে। তাছাড়া মহিলা টিআই ও মহিলা আনসারদের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু আইনশৃংখলা রক্ষাই নয়, মানব সম্পদ উন্নয়ন তথা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম।