বিটি বেগুনের জাত অবমুক্ত
ঢাকা: অবশেষে অবমুক্ত করা হলো বিতর্কিত জিএম শস্য বিটি বেগুনের চারটি জাত। দীর্ঘদিন আদালতের আদেশে স্থগিত থাকার পর বুধবার বিটি বেগুনের চারা বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়নে এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এই চার বিতরণ করেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ জাতের বেগুনে কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। এ ধরনের নতুন জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের আরো সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
চারটি জেলার ২০ জন কৃষকের মধ্যে চারাগুলো বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএআরআই’র মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল মূল প্রবন্ধে বিটি বেগুনের জাত উদ্ভাবনের ইতিবৃত্ত, চাষিদের বিটি বেগুন চাষের উপকারিতা এবং কৃষকেরা এটা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার বিষয় উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিটি বেগুনে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করলেও এতে পোকার আক্রমণ হবে না। এছাড়া কৃষক নিজেই এ জাতগুলোর বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে পারবে। দেশে-বিদেশে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেই জাতগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, চারা লাগানোর দুই মাসের মধ্যেই ফসল পাওয়া যাবে। প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৭০ টন বিটি বেগুন উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান গবেষকরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাক্তন কৃষি সচিব ড. এ এম এম শওকত আলী, ঢাকাস্থ ইউএসএআইডি মিশন ডাইরেকটর মিস জানিনা জেরুজেলসকি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহা পরিচালক ড. মো. এনামুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এসএম নাজমুল ইসলাম।