বিএনপি আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়েছে

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হাঁক-ডাক। আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন সার। এ তর্জন-গর্জনে বাংলাদেশে এখন আর আন্দোলন করার কোনো পরিবেশ নেই। তাদের আন্দোলনে এখন মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না।
শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধ এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করবে এমন দুশ্চিতা আমাদের মাথায় নেই। আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে একটা ‘‘গ্লোবাল ফেনোমেইনো’’ সেটা কি? তা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ। এ সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ মোকাবেলাই হচ্ছে আমাদের চ্যালেঞ্জ। তা মোকাবেলার জন্য ১১ জানুয়ারি জনসভায় আমাদের অঙ্গীকার এবং শপথ নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ নয়। এখন তাদের আন্দোলনে জনগণের সাড়া নেই। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার মতো সামর্থ ও ক্ষমতা বিএনপির নেই। তাদের আন্দোলনে ফিরতে হলে আরও অনেক সময় লাগবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে দেশে সরকার পরিবর্তন দেখতে চাইলে বিএনপিকে আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মেট্রোরেল রুট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই মেট্রোরেলের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অযৌক্তিক। আগামী মাসেই মেট্রোরেল রুটের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এসময় মন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের কাজ মে মাসের মধ্যে শেষ হবে বলেও জানান।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ বর্ধিত সভা আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।