বিএনপির নেতা মো. শাহজাহানের উপর সন্ত্রাসীদের হামলা
নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠককালে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা ককটেল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈঠকে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। হামলা থেকে বাঁচতে তিনি দৌঁড়ে একটি ঘরে আশ্রয় নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
এ বৈঠকে ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থীরা। তবে এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকালে পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ আজাদের পক্ষে উঠান বৈঠক করছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহান।
এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী রাজু ও যুবলীগ কর্মী অপুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল বৈঠকে হামলা চালায়। তারা ১০-১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় হামলা থেকে বাঁচতে মো. শাহজাহান দৌঁড়ে একটি ঘরে আশ্রয় নিয়ে এর দরজা বন্ধ করে দেন। তবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা ঘটনাস্থলে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীরা ব্যাপক মারধর করে। এর মধ্যে ফরহাদ (২৫), বাবু (২৭) ও নবীসহ (৩৫) পাঁচজনকে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদ উল্যা খাঁন সোহেলের কর্মী রাজু ও অপুর নেতৃত্বে উঠান বৈঠকে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী হারুন অর রশিদ আজাদ। তবে এ হামলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোনো নেতাকর্মীর জড়িত থাকার খবর অস্বীকার করেছেন শহীদ উল্যা খাঁন সোহেল। তার দাবি, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ হামলা হয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেনের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।