বাড়বে স্মৃতিশক্তি
নিউরন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। মাথায় আঘাত, ওষুধের প্রতিক্রিয়া, বেশি বেশি নেশা, মনে গভীর আঘাত, ইন্টারনেট আসক্তি ইত্যাদি কারণেও স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এছাড়া রক্তচাপ, হাঁপানি ও পেটের অভ্যন্তরে কোনো ঘা নিউরনের কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়ার কারণ।
স্মৃতিশক্তি লোপ পেলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এ বিপর্যয় রুখে দিতে কয়েকটি কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এর ফলে বাড়বে স্মৃতি শক্তিও। পদক্ষেপগুলো হলো- সঠিক খাবার নির্বাচন : স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই। অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ জরুরি। যেমন- শাকসবজি ও রঙিন ফল। পর্যাপ্ত ঘুম : মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে ও বাড়াতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ক্রমাগত কাজ করলে ক্লান্তি আসে, যা স্মৃতিশক্তিতে আঘাত হানে। কাজেই পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, আগে যেখানে দৈনিক ৬ ঘণ্টা ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য স্বাভাবিক ধরা হতো, এখন সেখানে ৮ ঘণ্টা ঘুমকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যায়াম : গত বছর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন, নিয়মিত সামান্যতম ব্যায়াম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্যায়ামের পর মস্তিষ্কে নোরেপিনেফিরিন নামে এক ধরনের রসায়ন বেড়ে যায়, যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কের তথ্য ধারণক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। সম্পূর্ণ মনোযোগ : স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোনো কাজ সম্পূর্ণ মনোযোগসহকারে করুন। মনোযোগহীনতা স্মৃতিশক্তি লোপের অন্যতম কারণ। যখন যে কাজ করবেন, সেই কাজে সম্পূর্ণ মনোযোগ রাখলে স্মৃতিশক্তি অনেক প্রখর হয়। মুষ্টিবদ্ধ হাত : দুই হাত মাত্র ৯০ সেকেন্ড মুষ্টিবদ্ধ করে রাখলেই স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এ প্রক্রিয়ায় কোনো কিছু শ্রবণ করলে তা সাধারণ অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি সহজে মনে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের একদল মনোবিজ্ঞানী বিশেষ সমীক্ষার পর এ তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেন, কোনো কিছু মনে রাখতে হলে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শোনা বা আত্মস্থ করা ভালো। এছাড়া সাধারণত শারীরিক সক্রিয়তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলে বাড়াতে পারেন আপনার স্মৃতিশক্তি। চর্চা করুন সুস্থ থাকুন। |