‘বাড়তি কোনো কিছু করার সুযোগই নেই’
‘বাড়তি কোনো কিছু করার সুযোগই নেই’
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার আজমেরী হক বাঁধন। এখন শোবিজ অঙ্গনে তাকে একজন পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবেই সবাই চেনেন। খন্ড কিংবা ধারাবাহিক দুই ধরনের নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন বাঁধন। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
কেমন আছেন? কেমন চলছে সব?
আলহামদুলিল্লাহ। বেশ ভালো আছি। আজ শুটিং নেই। (সাক্ষাৎকারটি নেয়ার সময়)। তাই মেয়ে সায়রাকে নিয়ে বেরিয়েছি। শহীদ মিনার আসার ইচ্ছে হলো তার। তাই ওকে নিয়ে শহীদ মিনার এলাম। আমার মেয়ে বেড়াতে খুব পছন্দ করে।
শুনলাম সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন?
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। সিঙ্গাপুর বাঙালি সোসাইটির আয়োজনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফরম করবো সেখানে যাচ্ছি। ১২ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রওনা হবো। ১৩ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান। পুরনো দিনের কয়েকটি গানের সঙ্গে নাচের পারফরম থাকবে। অনুষ্ঠান শেষে পরদিনই ঢাকায় ফিরবো। বেশ কিছু সিরিয়ালের কাজ হাতে রয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী কাজগুলো করতে হবে। না হলে তো সমস্যায় পড়ে যাবো।
জিটিভির ‘আজকের অনন্যা’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। কেমন লাগছে?
খুব ভালো লাগছে। প্রথমত অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কথা হয়। তাদের ভালোলাগা-খারাপ লাগা অনেক কথাই জানতে পারি। আমি নিজেও অনেক কথা বলি। তাই সব মিলিয়ে উপভোগ করছি।
নতুন কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পরিকল্পনা আছে কি?
এ মুহূর্তে আসলে সিডিউল খুব টাইট। তাই বাড়তি কোনো কিছু করার সুযোগই নেই। আর তাছাড়া উপস্থাপনার কাজটি ভালোলাগা থেকে করি। আমার প্রধান কাজ তো অভিনয়।
নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘এ কূলে আমি আর ঐ কূলে তুমি’ প্রচারে এসেছে সম্প্রতি। সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
আগেই একটু বলে রাখি। সাগর জাহানের নাটক মানে দর্শকমহলে অন্যরকম এক উত্তেজনা। আর যে নাটকে মোশাররফ করিম ভাই আছেন সেটার সাড়া নিয়ে তো কোনো সন্দেহ থাকে না। আমার চরিত্রটি এখানে একটু ব্যতিক্রমী। বড় বোনের ভুমিকায় আমাকে দেখছেন দর্শক। আমার স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন ফারুক আহমেদ ভাই। আমার কোন সন্তান হয় না। এ নিয়ে হতাশার মধ্যে দিন কাটে সবসময়। সেসঙ্গে বাবা-মাও বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত। এভাবেই দেখছেন এখন। খুবই ভালো রেসপন্স। আশা করছি দর্শক নাটকটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
নতুন কোন নাটকে অভিনয় করছেন?
এ মুহুর্তে নতুন কোন নাটকে কাজ করছি না। প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলোর শুটিং চালিয়ে যাচ্ছি। আর নতুন বলতে সাখাওয়াত মানিকের পরিচালনায় ‘মেঘে ঢাকা শহর’ নাটকের কাজ শেষ করেছি। এটি লিখেছেন রুদ্র মাহফুজ। তাছাড়া আগে থেকে কাজ চলে আসা নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তীরন্দাজ’, ‘সহযাত্রী’, ‘ডিবি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’ ও ‘নীল নির্বাসন’।
নতুন কোন বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন?
আরএফএল ফার্নিচারের একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম বেশ কয়েকমাস আগে। এটি নির্দেশনায় ছিলেন অংকু। এছাড়া কোকোলা নুডুলস-এর বিজ্ঞাপনটি প্রচার হচ্ছে। প্রস্তাব রয়েছে কিছু নতুন কাজের। তবে নাটকের শুটিংয়ের সিডিউল যটে আটকে আছি। অন্য কোন দিকে সময় দেয়ার মতো সময় পাচ্ছি না।
বর্তমান টিভি নাটক নিয়ে মূল্যায়ন কি?
এটা দর্শকের ওপর নির্ভর করে। ভালো খারাপ তারা দেখেন। তারাই বলতে পারবেন। আমাদের শিল্পীদের কাজ তো অভিনয় করা। তবে আমার জায়গা থেকে যদি বলি বলবো, ভালোই হচ্ছে। এখন অনেক চ্যানেল হয়েছে। নাটকের সংখ্যাও বেড়েছে। আর সে জায়গা থেকে প্রতিযোগিতা তো চলছে। ভাল যেমন হচ্ছে খারাপ কাজও দর্শকের চোখে ধরা পড়ছে।
মিডিয়ার বাইরে নিজের সময়টা কিভাবে কাটে?
আমি বরাবরই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি। একটা বিষয় খুব ভালভাবে মানি আর সেটা হলো, সময়ের কাজ সময়ে করা। আমি সকালে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বের হই। ওকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তারপর শুটিংয়ে যোগ দিই। বাইরের সময় বলতে আমার তেমনটা নেই।
একটি নাটকের স্ক্রীপ্ট লিখেছেন। এখন লেখালেখি কি করছেন না?
আসলে সময়টা বড় একটা বিষয়। শুটিং শুরুর আগে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসি। আবার রাতে বাসায় ফিরি। তারপর এই সায়রার পেছনেই আমার পুরো সময়টা কেটে যায়। তাহলে লেখার সময়টা আর কোথায় পাবো।
নতুন শিল্পীদের কেমন লাগছে?
নতুনরা বরাবরই ভালো করেন। এখন মিডিয়াতে অনেক শিল্পীর আবির্ভাব ঘটেছে। সবাই দারুণ পারফরম করছেন। আমার কাছে ভালোই লাগছে। তারাই একদিন শোবিজের এ জায়গাটিকে আরো আলোকিত করবেন।