বার সভাপতি জয়নুলের জামিন, খোকনকে হয়রানি নয়

আসামি ছিনিয়ে নেয়া ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত পৃথক তিন মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এ ছাড়া এসব মামলায় সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের পৃথক দুটি ডিভিশন বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
বিশেষ জজ আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের সম্মুখে বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে গত ৩০ জানুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে দুজন আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটে। ওইসব ঘটনায় নগরীর শাহবাগ ও রমনা থানায় ওইদিন পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন চান বার সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও সগীর হোসেন লিয়ন শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃঞ্চা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত ওই তিন মামলায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে ওই তিন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, এক মাসের মধ্যে তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে হবে। খোকনকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তার স্ত্রী আখতারুনেচ্ছা আতিয়ার। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।