বাধার কারণে মনোনয়নপত্র দিতে পারেননি ৮৩ প্রার্থী: বিএনপি

সরকার ও সরকারি দলের ক্যডারদের বাধার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ৮৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করে বলেন, সরকার ও সরকারি দলের বাধায় বিএনপির ৮৩ প্রার্থী নমিনেশন পেপার জমা দিতে পারেননি। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হল তার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের কারণেই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। জনগণের ভোট প্রদানের অধিকার বিলুপ্ত করে সরকারের একচেটিয়াত্ব প্রতিষ্ঠার সহযোগী হিসেবে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বেই থাকে, কিন্তু তারপরও প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় কী করে লীগ ক্যাডাররা নির্বাচনকে ঘিরে বাধা সৃষ্টি ও তাণ্ডব চালাতে পারে? নির্বাচন কমিশন কি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা নাকি গণভবন বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কিংবা সুধা সদনের এক্সটেনশন ভবনের ভূমিকা পালন করছে? আর এই কারণেই গণতন্ত্রে যে সামাজিক-রাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরি হয় সেটি বিনষ্ট হওয়ায় এক কঠোর কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের বিষাক্ত ছোবল দেশবাসীকে সহ্য করতে হচ্ছে।
রিজভী বলেন,৭৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ মার্চ। প্রহসনের ৫ জানুয়ারি ২০১৪ এর একতরফা নির্বাচনের যে মডেল খাড়া করেছে বর্তমান সরকার এবং তার দোসর নির্বাচন কমিশন পরবর্তীতে তারা প্রতিটি নির্বাচনে সেই মডেলটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে অনুসরণ করে যাচ্ছে। এই ইউপি নির্বাচনেও যে ভোট ডাকাতিসহ আওয়ামী লীগ ক্যাডার ও পুলিশের যৌথ তাণ্ডব দৃশ্যমান হবে তার সকল আলামত শুরু হয়ে গেছে এখন থেকেই।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কারণেই আজ সমাজ ও রাষ্ট্রের মানবিক চেহারা লোপ পাচ্ছে। তাই নিষ্পাপ শিশুরাও এই দুঃশাসনের করাল গ্রাসে চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এইভাবে ভোটারবিহীন সরকার আমাদের সমাজকে অনৈতিকতা আর অধঃপতনের লাস্ট চ্যাপ্টারে পৌঁছিয়ে দিয়েছে। এই দেশকে শান্তি, সুস্থিতি ও স্বস্তি দিতে হলে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।