বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সম্পর্ক আরো উন্নয়নের আহ্বান
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সম্পর্ক আরো উন্নয়নের আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং যোগাযোগ বৃদ্বিতে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অবশ্যই জোরদার করতে হবে।
অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ বিষয়গুলো আমাদের জনগণকে আরো ঘনিষ্ঠ করবে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের কুরুম্বা দ্বীপে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ও ফার্স্ট লেডির দেয়া রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ ধর্মীয় সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং উন্নয়ন প্রত্যাশার অভিন্ন জায়গা থেকে পরস্পরকে শেয়ার করে। আমরা এসব অভিন্ন জায়গা থেকে আগামী দিনগুলোতে একসাথে এগিয়ে যাব। আমরা সমৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বাস করি। আমি যখন দেখি মালদ্বীপে সে দেশের ভাই-বোনদের সাথে হাজার হাজার বাংলাদেশী একসাথে দু’দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে কাজ করছে, তখন আমার খুবই ভালো লাগে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির সময়ে আমরা সহযোগিতার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তঃদ্বীপ সংযোগ, গ্রীণ টুরিজম, জলবায়ু উপযোগি অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে মালদ্বীপের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহর প্রশংসা করেন।
তিনি জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা এবং করোনাকালীন পরিস্থিতির মধ্যেও পর্যটন শিল্প টিকিয়ে রাখতে তাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞার জন্য মালদ্বীপের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের ভিশন-২০৪১, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা। তাঁর সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির সুস্বাস্থ্য কামনা করে সেদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
সূত্র : বাসস