বাজেট অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী চার বছরে ১১ লাখ কেজি ফরমালিন আমদানি
চার বছরে ৩৮টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১১ লাখ কেজি ফরমালিন আমদানি করেছে। মঙ্গলবার সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছরই আমদানির পরিমাণ কমছে। তবে অপব্যবহার বাড়ছে।
সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪৬ দশমিক ৫৩ কেজি ফরমালিন আমদানি করা হয়। এরপর ২০১০-১১ অর্থ বছরে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৭ কেজি, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ২ লাখ ৫ হাজার ৯৬ দশমিক ১৫ কেজি এবং ২০১২-১৩ বছরে ৫৫ হাজার ১৭৩ কেজি ফরমালিন আমদানি করা হয়। কোন এজেন্টের মাধ্যমে এই ফরমালিন আমদানি করা হয় না বলে মন্ত্রী জানান।
আওয়ামী লীগের বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব মন্দায় রপ্তানিতে বাংলাদেশে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বিশ্ব মন্দা চলমান থাকার পরেও আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ জানান, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বিশ্বের ৯৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে। তবে এই বাণিজ্য বৈষম্য হ্রাস করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী পণ্য পরিচিত করার জন্য মেলায় অংশগ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিনিধি প্রেরণ, বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন ইত্যাদি।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ব্যবসায়ী সংগঠন, নেতৃত্ব স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। তারা রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস প্রদান করেছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা অন্যকোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাহাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ তৎপর রয়েছে। এছাড়া রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে ঢাকা মহানগরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টিম বাজার মনিটরিংসহ মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু পদক্ষেপ তুলে ধরেন মন্ত্রী।