বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পসমূহ
বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পসমূহ
প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য। আগামী অর্থবছরের জন্য এ প্রকল্প পাচ্ছে ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। সরকারের অগ্রাধিকভুক্ত এই
প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে এখান থেকেই ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পটি আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত অন্যান্য প্রকল্প
১. মাতারবাড়ি ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট পেয়েছে প্রায় ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।
২. চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) পেয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা।
৩. ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) পেয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
৪. পদ্মা সেতু রেলসংযোগ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প পেয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা।
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা।
৭. পদ্ম বহুমুখী সেতু নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পে মোট ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
৮. ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প পেয়েছে প্রায় ৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।
৮. পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া প্রকল্পে দেয়া হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
৯. হযরত শাহজালাল আন্তর্জঅতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (সংশোধিত) প্রকল্প পেয়েছে ২ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।