বাজেটে ব্যবসায়ীদের দাবির ১০ ভাগও মানা হয়নি: এফবিসিসিআই
বাজেট নিয়ে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ব্যবসায়ীরা কয়েক ডজন বৈঠক করলেও বাজেটে তার ১০ ভাগও প্রতিফলন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।
তিনি বলেন, এবারের মতো জটিল বাজেট এর আগে কখনো হয়নি। বাজেটের প্রতিটি লাইনে লাইনে জটিলতা রেখে দেয়া হয়েছে।
শনিবার বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর লক্ষ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ওই সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের এ শীর্ষ সংগঠনের ঊর্দ্ধতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বাজেটে দেয়া বেশকিছু প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বাজেট পাশকালে তা সংশোধনের দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ীদের সাথে ডায়ালগের কথা বলা হলেও এনবিআর বাজেটে ব্যবসায়ীদের উপর একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে মাতলুব আহমাদ বলেন, এক মাসের আলোচনা বৃথা গেছে। দুঃখ লাগে। সভাপতি হিসেবে আমি লজ্জিত। আলোচনায় না গেলে আরো বেশি প্রস্তাব মানা হতো। আলোচনার নামে আমাদের পেটের খবর নিয়ে এনবিআর ছুরি চালিয়েছে। তাহলে কেন এ প্রহসনের ডায়ালগ? আগামী বছর আলোচনায় যাবো কিনা সেটি এখন নতুন করে ভেবে দেখবো।
পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর), আয়কর ও শুল্ক বিষয়ে ৪৪৭টি প্রস্তাব দিয়েছি। অথচ কিছু আংশিকসহ মাত্র ৫৩টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
বাজেটে ভ্যাট আইনে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের প্রতিফলন হয় নি দাবি করে তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে নতুন আইনের ৮৫ ভাগই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। অন্যদিকে প্যাকেজ ভ্যাটের যে শর্ত দেয়া হয়েছে, তাতে অনেকের পক্ষেই প্যাকেজ ভ্যাটের আওতায় আসার সুযোগ থাকবে না। ব্যবসায়ীরা কর দিতে চায়। কিন্তু টিকে না থাকলে ভ্যাট-ট্যাক্স দেবে কোত্থেকে? রাজস্ব বাড়াতে হলে ব্যবসায়ীদের আবেদন শুনতে হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। এ সময় তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন না করলে ভ্যাট আদায় কমবে না, দশগুণ বাড়বে। আমরা সরকারের ঘরে পৌঁছে দেব। তিনি অভিযোগ করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারাই চায় না, রাজস্ব আদায় বাড়ুক। তারা ব্যবসায়ীদের বলে, সরকারকে কেন দেবেন। আমাদের দেন। এনবিআরের মনোভাবের পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময় এসেছে এনবিআর সঠিক পথে চলার।