বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে স্মিথ!
২০১১ সালে রিকি পন্টিংয়ের উত্তরসূরী হিসেবে মাইকেল ক্লার্ক প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন বাংলাদেশে। সেই ক্লার্ক এবার ইংল্যান্ডে গিয়ে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-১ ব্যবধানে অ্যাশেজ সিরিজ খুইয়ে ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন। অস্ট্রেলিয়ার এর পরের সিরিজটা বাংলাদেশে। সুতরাং, নতুন নেতার অধীনেই বাংলাদেশ সফরে আসবে অসিরা। সবকিছু ঠিক থাকলে, স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
ক্লার্কের ইচ্ছা ছিল টেস্ট ক্যারিয়ার আরও লম্বা করার। আর এ জন্য তিনি চারমাস আগে বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে রঙিন পোষাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন। কে জানতো, বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অ্যাশেজের পরই ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন! আসলে ইংল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনক সব রেকর্ডই ক্লার্কের বিদায়কে ত্বরান্বিত করেছে।
এরমধ্যে ট্রেন্টব্রিজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জাই তো সবচেয়ে বড়। আর ব্যাট হাতে ক্লার্কের ব্যর্থতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ট্রেন্টব্রিজে প্রথম ইনিংসে ১০ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পেরেছেন মাত্র ১৩। অস্ট্রেলিয়া মিডিয়ার খবর, ক্লার্ককে নাকি বলেই দেয়া হয়েছিল, অ্যাশেজের পর তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য বিবেচনা করা হবে না। আর এটা বুঝতে পেরে সসম্মানে প্রস্থান করলেন তিনি।
ক্লার্কের বিদায়ের পর অধিনায়কের পদ পূরণে সবচেয়ে যোগ্য এখন স্টিভেন স্মিথ। গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ভারত সিরিজে চোটে পড়েছিলেন নিয়মিত অধিনায়ক ক্লার্ক। তখন দল পরিচালনার সুযোগ হয়েছিল স্মিথের। যেখানে লেটার মার্ক পেয়েই উতরে গেছেন তিনি। তিন টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনটিতেই। রান করেছিলেন ৫৫৫। গড় ৯২.৫০।
তাহলে বাংলাদেশ সফরেই স্থায়ীভাবে নেতৃত্বটা পেতে যাচ্ছেন স্মিথ! ঠিক যেরকমটা পেয়েছিলেন তার পূর্বসূরী মাইকেল ক্লার্ক! তবে এও ঠিক, ক্লার্কের দেখা ২০১১’র বাংলাদেশ আর ২০১৫ এর বাংলাদেশের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক সেটা নিশ্চয় এতদিনে জানা হয়ে গেছে স্মিথের! এখন দেখার তিনি কিভাবে টালমাটাল অস্ট্রেলিয়াকে কক্ষপথে ফেরান!
উল্লেখ্য, দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের।