বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বিধি জটিলতা
মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন ১৯৭৯ এবং সংবিধান (সপ্তম সংশোধন আইন ১৯৮৬ বাতিল ঘোষনা হওয়ায় উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হতে ১৯৭৯ সালের ০৯ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ১৯৮২ সালের ২৫ মার্চ হতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে জারীকৃত অধ্যাদেশ/ নিয়োগবিধি / অন্যান্য বিধি কার্যকারিতা হারিয়েছে। এ আদেশের আলোকের বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগ বিধি সম্পন্ন হওয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় লোকবল সংখ্যা ও নিয়োগ বিধি প্রস্তুত করে গেজেট আকারে পাশ করার কথা। উক্ত নিয়োগবিধি অদ্যবধি গেজেট হিসেবে প্রকাশ করতে পারেনি। প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর অদ্যবধি নিয়োগবিধি সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ কার্যক্রম ও পদোন্নতি স্থগিত পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সাধারণ প্রশাসন বিভাগ, ভূসম্পত্তি ও স্বাস্থ্য বিভাগ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিভাগের লোকবল নিয়োগ ও পদোন্নতি স্থগিত পর্যায়ে আছে।
সাধারণ প্রশাসন বিভাগে ১৬ টি ও ভূসম্পত্তি বিভাগে ৯টি এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার শূন্য পদের পদোন্নতি স্থগিত আছে। এ সকল পদের নিয়োগ পদোন্নতির সাথে নি¤œপদের লোকবল পদোন্নতি/ নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যক্রম নেওয়া যেতে পারে। চারটি বিভাগের সাধারণ প্রশাসনে সরকারী কর্মচারী ও কর্মকতার পেনশন, ছুটি, বিনোদন লিয়েন বর্হিগমন ও মেডিক্যাল ছুটি জড়িত। কর্মকর্তার অভাবে কাজ কর্মের নথি পড়ে আছে। এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তার অভাবের কারণে উচ্ছেদ, রাজস্ব আয় আদায় মামলা মোকদ্দমা দেখাশুনা রেলভূমি রক্ষা করা সঠিকভাবে হচ্ছে না। রেলওয়ে হাসপাতাল গুলো কর্মকর্তা শূণ্য হয়ে আছে। এতে রেলওয়ের ও সাধারণ লোকবল কোন প্রকার সেবা ভোগ করতে পারছে না । আরএনবি অবসর জনিত ও পদশূন্য পূরণের অভাবের কারণে রেলওয়ে সম্পদ দেখাশুনা দেখভাল ঠিকভাবে হচ্ছে না। ৪টি বিভাগের নন্ক্যাডার কর্মকর্তার পদোন্নতি/ নিয়োগ প্রদানের সাথে নি¤œ পদের লোকবল নিয়োগ সম্পন্ন করলে এ জটিলতার অবসান ঘটবে।
এ সকল কর্মকান্ডের প্রধান কাজ হলো খসড়া নিয়োগবিধি কে নিয়োগবিধি হিসেবে অনুমোদন এবং গেজেট করা। গেজেটভূক্ত নিয়োগবিধির আলোকে সকল পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি ত্বরান্বিত করা। রেলওয়েতে ক্যাডার অফিসারদের একটি নিয়োগবিধি তৈরী করে সুবিধা ভোগ করছে। নন-ক্যাডার নিয়োগ বছরের পর বছর কাজ করছে বলে কচ্ছপ গতিতে ফেলে রেখেছে। এতে কর্মরত ও অবসর জনিত লোকবলের ক্ষতি হচ্ছে। প্রকল্প গ্রহণের ফলে প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগবিধি সম্পন্ন না হওয়ায় উক্ত প্রকল্পের ব্যয় সরকারের ক্ষতি পরিচালিত হিসেবে গন্য হচ্ছে।